বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেছেন, ২০২৫ সালের শুরুতে জনগণ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ পাবে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হলে দেশের জিডিপিতে ২ শতাংশ অবদান রাখবে।
আজ বুধবার (৪ অক্টোবর) রূপপুরের প্রকল্প এলাকায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এ কথা বলেন ৷
মন্ত্রী বলেন, সঞ্চালন লাইনসহ অন্যান্য অবকাঠামো তৈরি হওয়ার পরই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। ২০২৫ সালের শুরুতে জনগণ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ পাবে। দীর্ঘ সাত বছর ধরে নিরলসভাবে এই প্রকল্পের কাজ চলছে। এখন পর্যন্ত একদিনও এই প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়নি। বিশ্বের কোথাও এই মানের কোনো প্রকল্পের এতটা অগ্রগতি হয়নি এত কম সময়ে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক চেষ্টার ফলে এটা সম্ভব হচ্ছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হলে জিডিপিতে দুই শতাংশ অবদান রাখবে।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি ইউরেনিয়াম আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এটোমিক এনার্জি কমিশনের (আইএইএ) গভর্নিংবডির সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। ২০২৫ সালের শুরুতে জনগণ রূপপুর থেকে বিদ্যুৎ পাবে। উত্তরবঙ্গের পিছিয়ে পড়া জনগণ এই প্রকল্প থেকে উপকৃত হবে। এই এলাকার মানুষ মূল স্রোতে চলে আসবে। রাশিয়াকে কীভাবে ঋণ পরিশোধ করা হবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে। পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রতিটি ধাপেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন মাইলফলক।
তিনি বলেন, সঞ্চালন লাইনসহ অন্যান্য অবকাঠামো তৈরি হওয়ার পরই পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হবে।
প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর জানান, নিউক্লিয়ার জ্বালানি প্রকল্প এলাকায় আসার পরই এটি পারমাণবিক স্থাপনা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ৷ বাংলাদেশ নিউক্লিয়ার ক্লাবের ৩৩তম সদস্য হতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, পারমাণবিক জ্বালানি আমদানি ও সুরক্ষা করতে সব শর্ত মানা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সবার পর্যবেক্ষণ রয়েছে। ইউরেনিয়াম কমিশনিংয়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রকল্পটি পারমাণবিক রূপ পাবে। মাত্র ছয় বছর সাত মাসে আমরা প্রকল্পের এই রূপ দিতে সক্ষম হয়েছি।
মন্তব্য করুন