ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০২৩, ০২:২৭ পিএম
আপডেট : ০২ অক্টোবর ২০২৩, ০৩:৩৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ক্যাডার বৈষম্যের নিরসন চেয়ে ৭ দাবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে শিক্ষকরা

ক্যাডার বৈষম্যের নিরসন চেয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন শিক্ষকরা। ছবি : কালবেলা
ক্যাডার বৈষম্যের নিরসন চেয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন শিক্ষকরা। ছবি : কালবেলা

ক্যাডার বৈষম্যের নিরসন চেয়ে ৭ দাবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির শিক্ষকরা। এসময় শিক্ষকরা কলেজের সব ক্লাস বা পরীক্ষা বর্জন করেন।

সোমবার (২ অক্টোবর) বেলা পৌনে ১২টায় ঢাবি অধিভুক্ত ইডেন মহিলা কলেজ গেটে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি, ইডেন মহিলা কলেজ ইউনিটের আয়োজনে এই কর্মবিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়।

কর্মবিরতির এই অবস্থান কর্মসূচি বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে বলে জানান শিক্ষকরা। এ সময় ইডেন কলেজের প্রায় ২৬০ জন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষকরা ক্যাডার বৈষম্যের নিরসন চেয়ে ৭টি দাবি তুলে ধরেন। সেগুলো হলো-

১. আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন। ২. সুপার নিউমারারি পদে পদোন্নতি। ৩. অধ্যাপক পদ তৃতীয় গ্রেডে উন্নীতকরণ। ৪. অর্জিত ছুটি প্রদান এবং ক্যাডার কম্পোজিশনের সুরক্ষা। ৫. প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়োগবিধি বাতিল। ৬. শিক্ষা ক্যাডার তপিশলভুক্তপদ থেকে শিক্ষা ক্যাডার বহির্ভূতদের প্রত্যাহার এবং ৭. প্রয়োজনীয় পদ সৃষ্টি।

বক্তারা বলেন, আমরা সকাল থেকেই ক্যাডার বৈষম্যের নিরসনে আন্দোলনে নেমেছি। আমরা দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের ন্যায্য দাবি নিয়ে আন্দোলন করলেও সেটাকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। আমরা যোগ্য হয়েও আমাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। আমাদের নিজস্ব মন্ত্রণালয়ে আমাদের শিক্ষা ক্যাডারের লোকবল রেখে অন্য ক্যাডার থেকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে যা একটা বৈষম্য। আমাদের বাৎসরিক ছুটি থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। আমরা চাই আমাদের শিক্ষা ক্যাডারে নতুন পদ সৃষ্টি করা হোক এবং আমাদের পদোন্নতিসহ সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

ইডেন মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শামিমা নাসরিন বলেন, আমাদের নিজস্ব মন্ত্রণালয়ে অন্য ক্যাডার থেকে নিয়োগ হয় কিন্তু আমাদের যোগ্য শিক্ষকরা সেই মর্যাদা পায় না। আমাদের শিক্ষকদের পদোন্নতি ৪র্থ গ্রেডে গিয়ে থেমে যায়। আমরাও তো বিসিএস পরীক্ষা দিয়েই ক্যাডার হয়েছি তাহলে আমরা কেন ১ম, ২য় বা ৩য় গ্রেডে পদোন্নতি পাব না?

তিনি বলেন, পদোন্নতি না হওয়ায় শিক্ষকদের বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট হয় না। এটা আমাদের প্রতি আর্থিক বৈষম্য। তাছাড়া জুনিয়র শিক্ষকদের পদোন্নতি হতে অনেক বেশি সময় লাগে। আমি নিজে ৮ বছর ধরে পদোন্নতি পাচ্ছি না। আর কতদিন গেলে আমি পদোন্নতি পাব সেটাও জানি না। একজন শিক্ষক যদি ১৩-১৪ বছর কোনো পদোন্নতি না পান তাহলে স্বাভাবিকভাবেই তার পাঠদানে আগ্রহ কমে যাবে যার ফল ভোগ করতে হয় কলেজের শিক্ষার্থীদের।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মা নেই, বাবা কারাগারে : শিশুদের দেখভাল করতে হাইকোর্টের নির্দেশ

ক্রিকেট কিংবা ফুটবল সব জায়গায় ব্যর্থ ছেলেরা

পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র-গুলি উদ্ধার, আটক দুই 

আরিচায় বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজার পাইপে আগুন

শীত কবে আসবে, জানাল আবহাওয়া অফিস

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

যুক্তরাষ্ট্রকে টেক্কা দিতে ভয়ংকর যুদ্ধবিমান তৈরি করেছে চীন

মায়ের জীবন বাঁচিয়ে সরকারি স্বীকৃতি পেল ৮ বছরের শিশু

সাবেক এমপি সোলায়মান সেলিমের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ 

ক্ষমতায় গেলে প্রবাসীদের জন্য নানা পদক্ষেপ নেওয়া হবে : শফিকুর রহমান

১০

কুইক রেন্টালে দায়মুক্তি দেওয়া অবৈধ ছিল : হাইকোর্ট

১১

বায়ুদূষণে শীর্ষে লাহোর, ঢাকার খবর কী

১২

বেতনের জন্য শ্রমিকদের বিক্ষোভ / সেই টিএনজেড অ্যাপারেলসের পরিচালক গ্রেপ্তার

১৩

হাজী সেলিমের ছেলে সাবেক এমপি সোলাইমান গ্রেপ্তার

১৪

ইঁদুর মারার ওষুধ খেয়ে প্রাণ গেল ভাই-বোনের

১৫

প্রোটিয়াদের হারিয়ে টি-টোয়েন্টিতে ভারতের বিশ্ব রেকর্ড

১৬

ঘরে বসেই চিকিৎসা নিতে পারবেন ডায়াবেটিস রোগীরা

১৭

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ যতটা সম্ভব কম হওয়া উচিত : ড. ইউনূস

১৮

কুয়াকাটায় ৩ দিনব্যাপী রাস উৎসব শুরু

১৯

আ.লীগ নেতাদের ক্ষমা চাওয়ার কথা বলে নাজমুলের স্ট্যাটাস

২০
X