স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আইনি প্রক্রিয়া মোকাবিলা করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বিদেশে চিকিৎসা নিতে পারবেন।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটশনে জেলা ও সার্ভিস এসোসিয়েশন নেতাদের প্রতিনিধি সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিতে তার ভাইয়ের করা আবেদনে জটিলতা থাকায় তা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তারা মতামত দিলে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে এজন্য তাকে আইনি প্রক্রিয়া মোকাবিলা করতে হবে।
খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ চেয়ে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার গত ২৫ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। এ বিষয়ে মতামতের জন্য আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে নিরাপত্তা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা সড়কে চারটি দেশকে স্পেশাল সিকিউরিটি দিয়ে আসছিলাম। এমনিতে তাদের দূতাবাসে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা রয়েছে। আমি সংখ্যায় বলছি না, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে সর্বোচ্চ পুলিশ পাহাড়ায় নিয়োজিত আছে।
তিনি বলেন, যখন তারা বাইরে যান আমরা গাড়ির একটা প্রোটেকশন দিতাম। কিছু মন্ত্রীর ক্ষেত্রে যেমন সামনে-পেছনে পুলিশের গাড়ি থাকে এমন চারটি দেশের রাষ্ট্রদূত চলাচলের সময় সে ধরনের প্রোটেকশন দিতাম।
আমরা সেই রাস্তার প্রোটেকশনে পুলিশের পরিবর্তে আনসার গার্ড রেজিমেন্ট নিয়োগ করেছিলাম। যারা যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষম ও সেনাবাহিনী থেকে সর্বোচ্চ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। আমরা চেয়েছি রাস্তায় চলাচলের নিরাপত্তায় আনসার গার্ড রেজিমেন্ট থাকবে এবং একজন পুলিশ কমান্ডার থাকবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যে চারটি দেশের রাষ্ট্রদূতকে এটি দেওয়া হয়েছে সেটি তারা মেনে নিয়েছে শুধু যুক্তরাষ্ট্র একটু আপত্তি জানিয়েছে। এরপরও তারা মনে করলে এটা নিয়ে আমরা ভবিষ্যতে কথা বলব, চিন্তা করব।
এর আগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা আর অন্ধকারে ফিরে যেতে চাই না, আমরা আলোকিত বাংলাদেশে থাকতে চাই। অন্ধকারাচ্ছন্ন আর না খেয়ে থাকার বাংলাদেশকেও আপনারা দেখেছেন। আজ সারা দেশ মনে করে তারা আর অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে না। আপনাদের কাছে আহ্বান সেটিই, আপনারা এ ধারা অব্যাহত রাখবেন। আপনাদের মাধ্যমে আমরা আলোকিত বাংলাদেশ দেখতে চাই, স্মার্ট বাংলাদেশ দেখতে চাই।
মন্তব্য করুন