সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য ক্ষমতাসীন সরকারের ২০১৮ সালে দেওয়া সাত দফা নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণে আগামী ৬ অক্টোবরের পরিবর্তে চার নভেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। সেইসঙ্গে একই দাবিতে ছয় অক্টোবর দেশের সকল মহানগর, জেলা ও উপজেলায় পর্যায়ে বিকেল ৪টায় সমাবেশ ও মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় কর্মসূচি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ওই দিন বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত বুধবার রাতে সংগঠনের অন্যতম সভাপতি ড. নিমচন্দ্র ভৌমিকের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সংগঠনগুলোর ঐক্যমোর্চার প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্ত বিগত দিনের কার্যাবলি তুলে ধরে বলেন, দাবি বাস্তবায়নে আমাদের আন্দোলনের পাশাপাশি আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে।
বৈঠকে তিনি বলেন, চলমান আন্দোলনের কর্মসূচি ও সংগঠনের দাবিগুলো নিয়ে গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব রাজনৈতিক দলের সাথে এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিক ও মিশন প্রধানদের সাথে মতবিনিময়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঐক্য পরিষদ।
আলোচনায় অংশ নেন ব্রজগোপাল দেবনাথ, বলরাম বাহাদুর, রমেন মণ্ডল, স্বপ্না বিশ্বাস, অ্যাডভোকেট বিভাষ বিশ্বাস, উত্তম কুমার চক্রবর্তী, অ্যাডভোকেট তাপস কুমার পাল, নৃপেন্দনাথ মণ্ডল, অ্যাডভোকেট কিশোর রঞ্জন মণ্ডল, অ্যাডভোকেট কিশোর কুমার বসু রায় চৌধুরী পিন্টু, অ্যাডভোকেট তপন চক্রবর্তী, রবীন্দ্রনাথ বসু, অ্যাডভোকেট শ্যামল রায়, অ্যাডভোকেট অপূর্ব ভট্টাচার্য, জয়ন্ত কুমার দেব, মিলন কান্তি দত্ত, অ্যাডভোকেট বিনয় ঘোষ বিটু, বাপ্পাদিত্য বসু, অঙ্কুরজিত সাহা নব, অ্যাডভোকেট তপো গোপাল ঘোষ, মনীন্দ্র কুমার নাথ, হীরেন্দ্রনাথ সমাজদার হীরু, শুভাশিষ বিশ্বাস সাধন, রঞ্জন কর্মকার, জয়ন্ত সেন দীপু, বাসুদেব ধর, মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি প্রমুখ।
সভায় অন্যান্য সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় মহাসমাবেশকে সামনে রেখে আগামী সাত অক্টোবর সকল জেলা ও মহানগর কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির বর্ধিত সভার আয়োজন করা হবে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর নির্বাচনের সকল পর্যায়ে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, নির্বাচনকালীন, নির্বাচন-পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন ও সহিংসতা প্রতিরোধ ও সুরক্ষা, নির্বাচনী প্রচারণায় সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মীয় বিদ্বেষ না ছড়ানো এবং সবার ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের সাথে সাক্ষাৎ এবং নির্বাচন সম্পর্কিত নির্দিষ্ট দাবি সংবলিত স্মারকলিপি পেশ করা হবে। সংগঠনের বিদেশি শাখাগুলো কর্তৃক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতে সাত দফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপি পেশ করা হবে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং গণমাধ্যমের সম্পাদকদের সাথে বিদ্যমান সংখ্যালঘু পরিস্থিতি এবং সরকারি দলের অঙ্গীকার সংবলিত সাত দফা দাবিগুলো নিয়ে মতবিনিময় করা হবে।
মন্তব্য করুন