রাজধানীর শাহবাগ থানা হেফাজতে নিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধরের ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিলো আজ মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর)। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছিল, তদন্ত কার্যক্রম শেষ। ঘটনায় দোষ মিলেছে দুই পুলিশ কর্মকর্তা এবং অপর এক সরকারি কর্মকর্তারও।
থানায় নির্যাতনে পুলিশের অন্তত ৫ জনের সম্পৃক্ততার কথাও বেরিয়ে আসে। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিবেদন জমা না দিয়ে কমিটি আরও সাত দিন সময় বাড়ানোর আবেদন করে মঙ্গলবার। আবেদনের প্রেক্ষিতে আবারও অতিরিক্ত তিন দিনের সময় দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে তদন্ত কমিটি দুই দফায় ৮ দিনের সময় বাড়ালো।
মঙ্গলবার রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক কালবেলাকে বলেন, ‘তদন্ত কমিটি ৭ দিনের সময় বাড়ানোর আবেদন করেছিল। তবে তাদের তিন দিনের সময় দেওয়া হয়েছে।’
এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি (সাসপেন্ড) হারুন-অর-রশীদ ও আরেক সরকারি কর্মকর্তা আজিজুল হক মামুনের হাতাহাতি ঘটনার ঘটে। আরেক পুলিশ কর্মকর্তা এবং আজিজুল হক মামুনের স্ত্রী সানজিদা আফরিনকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটে। এর জেরে কেন্দ্রীয় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে নির্যাতনের ঘটনার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় সাধারণ জনগণ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে।
আলোচিত এ ঘটনায় এডিসি হারুনকে সাময়িক বরখাস্ত করে রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) মোস্তফাকে বদলি করা হয়।
ওই ঘটনায় ডিএমপির ডিসি (অপারেশন্স) মো. আবু ইউসুফকে প্রধান করে গত ১১ সেপ্টেম্বর তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে দুই দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা পাঁচ দিন সময় বৃদ্ধির আবেদন করেন। পরে তাদের ৫ দিনের সময় বাড়িয়ে দেন পুলিশ কমিশনার। মঙ্গলবার সেই ৫ দিন শেষ হলে ফের ৭ দিন সময় আবেদন করা হয়।
তদন্ত কমিটির একজন সদস্য ডিএমপির নিউমার্কেট জোনের এডিসি শাহেন শাহ কালবেলাকে বলেন, তারা তদন্ত পুরোপুরি শেষ করতে পারেননি। এজন্য সময়ের আবেদন করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে পুলিশ সূত্র জানিয়েছিল, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা জোনের এডিসি পদ থেকে বরখাস্ত হওয়া হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের মারধরের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে পুলিশের তদন্ত কমিটি।মঙ্গলবার এই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হতে পারে। তদন্ত প্রতিবেদনে এডিসি হারুন ও এডিসি সানজিদা আফরিনসহ ৫ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হবে।
মন্তব্য করুন