কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:৪৫ পিএম
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:৫৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

হারুনকাণ্ডে আলোচনায় কে এই সানজিদা?

সানজিদা আফরিন নিপা। ছবি : সংগৃহীত
সানজিদা আফরিন নিপা। ছবি : সংগৃহীত

এডিসি হারুনকাণ্ড নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। ছাত্রলীগের দুই নেতাকে পিটিয়ে রীতিমতো বরখাস্ত হয়েছেন তিনি। ঘটনাটি নিয়ে যখন জোড় আলোচনা চলছে ঠিক তখনই সামনে আসে পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) সানজিদা আফরিন নিপার নাম।

সানজিদাকে ঘিরে এ ঘটনার সূত্রপাত বলে জানা গেছে। যদিও বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সানজিদা। তবে প্রশ্ন হলো- কে এই সানজিদা।

সানজিদা বলেন, ‘শনিবার রাতে বারডেম হাসপাতালে আমি চিকিৎসা নিতে যাই। সেখানে তাকে (হারুন) পেটানো হয়। আমি ইটিটি রুমে থাকাকালীন এ হামলার ঘটনা ঘটে।’

এডিসি হারুনকে কে হাসপাতালে ডেকেছিল- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি ডাক্তারের সিরিয়ালের জন্য এডিসি হারুনের শুধু সহযোগিতা নিয়েছিলাম। হারুন সেখানে এসে আমাকে ডাক্তারের সিরিয়ালের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। এ ছাড়া আর কিছুই জানি না।’

সানজিদা ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) হিসেবে কর্মরত এবং ৩১তম বিসিএস কর্মকর্তা। তিনি রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হকের স্ত্রী।

সানজিদা আফরিনের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুরের নাগদা শিমলা ইউনিয়নে। এম হোসেন আলীর মেয়ে। তার বড় বোন পেশায় একজন ডাক্তার।

২০১৬ সালের ৫ মে থেকে ২০২১ সালের ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চে ছিলেন সানজিদা। এর পর ২০২১ সালের ৬ মে থেকে ২০২২ সালের ৭ নভেম্বর পর্যন্ত গাজীপুর সদর সার্কেলে এএসপি হিসেবে কর্মরত ছিলেন সানজিদা। ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর তিনি ডিএমপিতে যোগদান করেন। প্রসঙ্গত, গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করে বলে অভিযোগ ওঠে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ।

এই দুজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ভুক্তভোগী ও তাদের সহপাঠীদের অভিযোগ- পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদ তাদের থানায় নিয়ে বেদম পিটিয়েছেন। ছাত্রলীগের নেতা পরিচয় দেওয়ার পরও হারুনের সঙ্গে ১০-১৫ পুলিশ সদস্য মিলে তাদের পেটান।

পুলিশ সূত্র জানায়, শাহবাগের একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যান পুলিশের এক নারী কর্মকর্তা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিট্রন পুুলিশের রমনা জোনের এডিসি হারুন অর রশিদ। সেখানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে ওই নারী কর্মকর্তার স্বামী হাজির হন। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। পরিস্থিতি দেখে এডিসি হারুন সেখান থেকে চলে যান। পরে পুলিশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের শাহবাগ থানায় ডেকে নিয়ে মারধর করে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: এডিসি হারুন-সানজিদাকান্ড
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বাংলাদেশ-ভুটানের মধ্যে বাণিজ্য আরও সহজ করার আহ্বান

অবশেষে চারুকলাকে চবির মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত

কাশ্মীরে হামলা, সন্ত্রাসীদের নিয়ে যা জানা যাচ্ছে

কুয়েট ভিসির অপসারণ চেয়ে জাবি শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন

এবার বরিশালে মেয়র হতে চান জাপা প্রার্থীও, মামলা দায়ের

রাজধানীর আরও দুই এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ হচ্ছে

দুই মিনিটের বিক্ষোভ মিছিল নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের

তরুণদের গবেষণায় আগ্রহী করছে ‘ইয়াং রিসার্চার ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম’

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন চায় দুই দল

‘খাল-বিল দখল করে যারা ঘুমাচ্ছেন, তাদের সময় শেষ’

১০

নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষকদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ককে অব্যাহতি

১১

কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের অনশন

১২

ইসরা‌য়ে‌লের আকা‌শে ইয়েমেনিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

১৩

একের পর এক ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তুরস্ক

১৪

তরুণ বিজ্ঞানীদের রুশ পুরস্কার জেতার সুযোগ

১৫

সরকারকে তিন সপ্তাহের আলটিমেটাম শিবিরের

১৬

মিরাজের দুর্দান্ত বোলিংয়ের পরও সিলেটে বাংলাদেশের পরাজয়

১৭

ড. ইউনূস-ড্রেয়ারের আলোচনায় পেপ্যাল প্রসঙ্গ

১৮

কাশ্মীরে কড়াকড়ি, অর্ধশত কিলো দূরে সাংবাদিকরা

১৯

প্রকাশ্যে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২০
X