কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:৫৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
সংসদে বিল পাস

জমির মিথ্যা দলিলে সাত বছরের কারাদণ্ড

জাতীয় সংসদ অধিবেশন। পুরোনো ছবি
জাতীয় সংসদ অধিবেশন। পুরোনো ছবি

জমির মিথ্যা দলিল করলে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। আর বৈধ দলিল বা আদালতের আদেশের মাধ্যমে মালিকানা বা দখলের অধিকার প্রাপ্ত না হলে কোনো ব্যক্তি কোনো ভূমি দখলে রাখতে পারবেন না।

এসব বিধান রেখে আজ মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিল- ২০২৩’ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। বিলের ওপর আনা জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। এ সময় ভূমিমন্ত্রী বলেন, দলিল যার জমি তার।

বিলে বলা হয়েছে, কোনো দলিল সম্পাদিত হওয়ার পর আইনানুগ কর্তৃত্ব ছাড়া প্রতারণামূলকভাবে দলিলের কোনো অংশ কাটা বা পরিবর্তন করলে তার সাজা হবে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে কোনো মিথ্যা দলিল প্রস্তুত করা, প্রতারণামূলকভাবে কোনো ব্যক্তিকে কোনো দলিলে সই বা পরিবর্তনে বাধ্য করার ক্ষেত্রেও একই সাজা ভোগ করতে হবে। ভূমি হস্তান্তর, জরিপ ও রেকর্ড হালনাগাদে অন্যের জমি নিজের নামে প্রচার, তথ্য গোপন করে কোন ভূমির সম্পূর্ণ বা অংশ বিশেষ কারো কাছে হস্তান্তর, ব্যাক্তির পরিচয় গোপন করে জমি হস্তান্তর ও মিথ্যা বিবরণ সংবলিত কোন দলিলে স্বাক্ষর করলে তার সাজা হবে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড।

বিলে বলা হয়েছে, হালনাগাদকৃত সর্বশেষ খতিয়ান মালিক বা তার উত্তরাধিকারসূত্রে বা হস্তান্তর বা দখলের উদ্দেশে আইনানুগভাবে সম্পাদিত দলিল বা আদালতের আদেশের মাধ্যমে কোনো মালিকানা বা দখলের অধিকার প্রাপ্ত না হলে কোনো ব্যক্তি ওই ভূমি দখলে রাখতে পারবেন না। অবৈধ দখলের সাজা হবে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড।

বিলে আরও বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তির নামে স্টেট একুইজিশন অ্যানড্ টিন্যান্সি অ্যাক্টের অধীনে প্রণীত বা হালনাগাদকৃত বলবৎ সর্বশেষ খতিয়ান না থাকলে এবং খতিয়ান ও হালনাগাদ ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের প্রমাণ দেখাতে ব্যর্থ হলে তিনি ওই জমি বিক্রি, দান বা হেবা বা অন্য কোনোভাবে হস্তান্তর, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি সম্পাদন বা দলিল নিবন্ধন করতে পারবেন না।

বিলে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি জেলা প্রশাসকের অনুমতি ছাড়া আবাদযোগ্য জমির উপস্তি–স্তর কাটলে তার সাজা হবে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড।

এছাড়া ১৯৮৪ সালের ল্যান্ড রিফর্মস অর্ডিন্যান্স রহিত করে ‘ভূমি সংস্কার বিল’ পাস হয়েছে।

বিলে বলা হয়েছে, ৬০ প্রমিত বিঘার বেশি কৃষি ভূমির মালিক বা তার পরিবার হস্তান্তর, উত্তরাধিকার, দান বা অন্য কোনো উপায়ে নতুন কোনো কৃষি ভূমি অর্জন করতে পারবে না। তবে আটটি ক্ষেত্রে এটি শিথীল থাকবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দু’দিনের ব্যবধানে সোনার দাম বৃদ্ধি, ভরি কত?

সাগরে লুঘচাপের মধ্যেই বৃষ্টি নিয়ে বড় দুঃসংবাদ   

আ.লীগের ধ্বংসস্তূপ থেকে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ : রাশেদ প্রধান

সাতছড়ি উদ্যান দখল করে প্রভাবশালীদের লেবু চাষ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কমিটি নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সংঘর্ষ

এবার মারা গেলেন পরীমণির প্রথম সিনেমার পরিচালক

বিএনপিতে অনুপ্রবেশকারীর ঠাঁই হবে না : আমিনুল হক 

‘আ.লীগ ভিন্ন রাষ্ট্রের আদেশ বাস্তবায়নে ক্ষমতা দখলে রেখেছিল’

ঢাবির ইসলামের ইতিহাস বিভাগে মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির সুযোগ

কওমি সনদকে কার্যকরী করতে ছাত্রদল ভূমিকা রাখবে : নাছির উদ্দীন 

১০

তিনবারের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আজাদ গ্রেপ্তার

১১

শিল্পকলায় প্রদর্শিত হলো সার্কাস

১২

৮ দফা অবিলম্বে বাস্তবায়ন দাবি ঐক্য পরিষদের

১৩

পুলিশ পরিচয়ে দখলবাণিজ্য এসপি শামীমা ইয়াসমিনের

১৪

ওয়ানডে সিরিজেও মুশফিককে নিয়ে শঙ্কা

১৫

বিধানসভা উপনির্বাচন / পশ্চিমবঙ্গে ৬ আসনেই তৃণমূলের জয়

১৬

জোর করে পদত্যাগ করানো সেই উপাধ্যক্ষের হৃদরোগে মৃত্যু!

১৭

বিচ্ছেদের যন্ত্রণা নিয়ে পরীমণির স্ট্যাটাস

১৮

টেস্টে হাসানের দারুণ রেকর্ড

১৯

নির্দোষ ব্যক্তিদের নামে হওয়া মামলা আইন মেনে প্রত্যাহারের নির্দেশ

২০
X