বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে ডিজিটাল বৈষম্য কমিয়ে আনার লক্ষ্যে উদ্বোধন করা হয়েছে ‘জিরো ডিজিটাল ডিভাইড’। বিশ্বব্যাপী শুরু হওয়া এই কার্যক্রমে যুক্ত হলো বাংলাদেশও। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ, এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) এবং ইউএনডিপি যৌথভাবে এ প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার ও তাতে অংশগ্রহণে সমতা নিশ্চিত করতে ই-কোয়ালিটি সেন্টার চালু করছে বাংলাদেশ। সেই সেন্টার প্রতিষ্ঠাকে ঘিরে ডিজিটাল বৈষম্য শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে এই বৈশ্বিক ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়েছে।
আজ শনিবার রাজধানীর আইসিটি টাওয়ারে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করা হয়। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক, জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব এবং ইউএনডিপির এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক কান্নি উইগনারাজা উপস্থিত থেকে এর উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয় প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে বিশ্বের পিছিয়ে পড়া দেশগুলোতে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই ডিজিটাল ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করাই এই ক্যাম্পেইনের লক্ষ্য।
‘জিরো ডিজিটাল ডিভাইড’ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণে বাংলাদেশ এক ধাপ এগিয়ে যাবে উল্লেখ করে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ই-কোয়ালিটি সেন্টার তৈরির এই উদ্যোগ আরো ত্বরান্বিত করা হবে। স্মার্ট বাংলাদেশের যে স্বপ্ন বাংলাদেশ দেখছে তা এখন অনেকের চোখে উচ্চাভিলাষী মনে হতে পারে। তবে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী সমাধানের মাধ্যমে এই দেশ সেই অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখাবে।
ডিজিটাল বিভাজন কমাতে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখিয়েছে উল্লেখ করেন জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব এবং ইউএনডিপির এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক কান্নি উইগনারাজা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ঘিরে অনেক আশা রয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখ্যযোগ্য অগ্রগতি করেছে। আমাদের এডমিনিস্ট্রেটর আকিম স্টেইনার প্রায়ই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ইউএনডিপি-এর সাবেক এডমিনিস্ট্রেটর হেলেন ক্লার্ক কর্তৃক ২০১০ সালে চর কুকরি মুকরি থেকে সারাদেশে ডিজিটাল সেন্টার উদ্বোধন করার কথা উল্লেখ করেন। সেই ডিজিটাল সেন্টারের সংখ্যা এখন প্রায় ৯ হাজার।
এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক মো. মামুনুর রশীদ ভূঞার সভাপতিত্বে ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) চেয়ারম্যান এ এফ এম গাউসুল আজম সরকার, এটুআই-এর পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, উইম্যান অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই) এর সভাপতি নাসিমা আক্তার নিশা এবং এক্সেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং কমনওয়েলথ ডিসএবলড পিপলস ফোরাম (সিডিপিএফ) এর আঞ্চলিক প্রতিনিধি মহুয়া পল।
ক্যাম্পেইন উদ্বোধনের সময় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন এটুআই-এর কালচার অ্যান্ড কমিউনিকেশনস বিভাগের প্রধান পূরবী মতিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এর অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মকর্তারা।
মন্তব্য করুন