ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে খুলে দেওয়ার তৃতীয় দিনে এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করেছে ৩০ হাজারের বেশি গাড়ি। এসব গাড়ি থেকে প্রায় ২৫ লাখ টাকার বেশি টোল আদায় করা হয়েছে।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে এ তথ্য।
৫ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা থেকে ৬ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৩০ হাজার ৯১৯টি যানবাহন চলাচল করেছে। মোট টোল আদায় হয়েছে ২৫ লাখ ৬ হাজার ৮০০ টাকা। এসব গাড়ির মধ্যে বিমানবন্দর থেকে বনানী, মহাখালী, ফার্মগেট পথে ১৫ হাজার ৬৯০টি, কুড়িল থেকে বনানী, মহাখালী ও ফার্মগেট পথে ৩ হাজার ৬১৯টি, বনানী থেকে কুড়িল-বিমানবন্দর পথে ২ হাজার ৮৯৮টি এবং তেজগাঁও থেকে মহাখালী, বনানী, কুড়িল ও বিমানবন্দরের পথে ৮ হাজার ৭১২টি গাড়ি ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচল করেছে।
এর আগে শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ধাপে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর (কাওলা) থেকে ফার্মগেট অংশ মোট সাড়ে ১১ কিলোমিটার দূরত্বের পথটি উদ্বোধন করেন তিনি।
পরদিন রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টায় উড়ালপথটি সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। তখন থেকে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা পর্যন্ত (প্রথম দিন) ২৪ ঘণ্টায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি উঠেছে ২২ হাজার ৮০৫টি। এসব গাড়ি থেকে মোট ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৮৮০ টাকা টোল আদায় হয়েছে।
রাজধানী ঢাকার প্রতিদিনের তীব্র যানজটে অতিষ্ঠ নগরবাসীদের জন্য এটা নিশ্চিতই সুখবর। ২০১১ সালে চুক্তি সইয়ের এক যুগ পরে আলোর মুখ দেখল ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে।
প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা জানান, প্রথম ধাপে ফার্মগেট পর্যন্ত চালু হলেও আগামী জুনে দ্বিতীয় ধাপে মালিবাগ, খিলগাঁও, কমলাপুর হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত বাকি অংশ চালুর কথা রয়েছে। তখন এক্সপ্রেসওয়ের পুরোপুরি সুবিধা পাবেন নগরবাসী। ফলে বাঁচবে যাতায়াতের সময়, কমবে দুর্ভোগ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, উদ্বোধনের পর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলেও এতে সবাই চলাচল করতে পারবে না। পথচারী, মোটরসাইকেল, থ্রি-হুইলার, রিকশা, অটোরিকশাসহ তিন চাকার গাড়ি এতে উঠতে পারবে না। এক্সপ্রেসওয়েতে কেবলমাত্র চলতে চার চাকা কিংবা এর অধিক চাকার বাস, ট্রাক ও প্রাইভেটকার। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভও রয়েছে।
মন্তব্য করুন