সামনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে গরম রাজনৈতিক অঙ্গন। ইতোমধ্যে কয়েকটি দেশের কূটনীতিকরা বাংলাদেশে সফর করেছেন। সবাই চায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। যদি এর ব্যত্য়য় ঘটে তাহলে কী করবে যুক্তরাষ্ট্র?
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকদের ধারণা, নির্বাচনের আগে বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা নেই। তবে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু না হলে নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে দেশটির গবেষক মাইকেল কুগেলম্যান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এমন পরিস্থিতিতে বড় ধরনের নতুন নিষেধাজ্ঞা আসবে বলে মনে হচ্ছে না। তবে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু না হলে নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে।
তবে নিষেধাজ্ঞা কেমন হবে এ বিষয়ে তিনি বলেন, ভিসা নিষেধাজ্ঞা, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাসহ অনেক রকম হতে পারে। কিন্তু অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার দিকে যাবে বলে মনে হয় না। কারণ বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। যদি কোনো ধরনের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্র আরোপ করতে যায়, তাতে দুই দেশের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারতের প্রভাব নিয়ে মার্কিন এই গবেষক বলেন, ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের নিবিড় সম্পর্কের কারণে কখনো কখনো কিছু বিষয়ে দেশটির মত নেওয়া হতে পারে। তবে ভারতের মত প্রাধান্য পায়, বিষয়টি এমন নয়। ভারতের উদ্বেগ দ্বারা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারিত হয় না।
বর্মমানে দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে একের পর এক কর্মসূচি দিয়ে চলেছে বিরোধী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলসহ (বিএনপি) সমমনা দলগুলো। তাদের দাবি না মানলে ভোটে অংশ নেবে না, বলছে তারা। এমন পরিস্থিতিতে কদিন আগে ঢাকা ঘুরে গেলেন মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া। তিনিও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ওপর জোর দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন