প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্যে পৌঁছতে যক্ষ্মা নির্মূলে “সংসদীয় যক্ষ্মা ককাস” এর ভূমিকা কি হবে এবং “সংসদীয় যক্ষ্মা ককাস” কি ধরনের পলিসি ও আইন প্রস্তুতে কি ধরনের কাজ করতে পারে বুধবার (৩০ আগস্ট) পার্লামেন্টস মেম্বার ক্লাবে সকাল ১১ টায় যক্ষ্মা নির্মূলে বাংলাদেশ সংসদীয় যক্ষ্মা ককাস” এর মতবিনিময় সভায় সংসদ সদস্যরা এ বিষয়কে গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরেন।
“যক্ষ্মা নির্মূলে বাংলাদেশ সংসদীয় যক্ষ্মা ককাস এর মতবিনিময় সভা জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি (এন,টি, পি) এর আওতায়- প্রিপ ট্রাস্ট ও আইসিডিডিআর,বি আয়োজন করে।
বিশিষ্টজনেরা আরো বলেন, বর্তমানে “যক্ষ্মা” বাংলাদেশে মহামারি আকার ধারণ করেছে। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশ থেকে “যক্ষ্মা” নির্মূল করা, প্রধানমন্ত্রীর এই অঙ্গীকারকে সামনে রেখে বাংলাদেশ “সংসদীয় যক্ষ্মা ককাস” গঠন করা - যা এশিয়া মহাদেশের মধ্যে একমাত্র ককাস। ২০৩৫ সলের মধ্যে এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বার, মেয়র ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের সম্পৃক্ততা জরুরি।
যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি (এন টি পি) এর মনিটরিং ইভ্যালুয়েশন এক্সপার্ট ডা. আহমেদুল হাসান খান একটি পরিসংখ্যান এর মাধ্যমে উত্থাপন করেন, ২০০৬ সালে “যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হতো মাত্র ৬ হাজার, ২০২১ রোগী শনাক্ত হয় ৩ লাখ ২১ হাজার রোগী, যার মধ্যে ৯৫ শতাংশ রোগী ঔষধ সেবনে সুস্থ হয়ে উঠে, ২০০৬ সালে যক্ষ্মা রোগে মৃত্যু হতো ৭৭ হাজার। যা ২০২১ সালে এসে দাড়িয়েছে মাত্র ৪২ হাজার, যক্ষ্মা টেস্টের মেশিন এখন প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে গেছে যা যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত কে সহজলভ্য করেছে। এ থেকেই প্রতীয়মান হয় যে যক্ষ্মা রোগীর সেবা উন্নতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
প্রিপ ট্রাস্টের ৫ টি কর্ম এলাকার মাঠ পর্যায়ের সুপারিশ সমূহ উপস্থাপন করেন নির্বাহী পরিচালক ড: ওমর ফারুক চৌধুরী। তিনি বলেন, টিবি রোগী খুঁজে বের করা কঠিন, টিবি সেন্টারে/ ক্লিনিকে রোগী কম, দারিদ্রতার কারণ যাতায়াত খরচ না থাকায় অনেকে টেস্ট করাতে চান না। চা বাগানের শ্রমিকদের বাইরে যাওয়ার সুযোগ না থাকায় সেখানে ডট সেন্টার এর ব্যবস্থা করা। কমিউনিটি ক্লিনিকে যক্ষ্মা রোগ শনাক্তকরণের ব্যবস্থা করা।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি অংশ নেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড: শামসুল হক টুকু, এমপি, ডেপুটি স্পিকার, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ এবং প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ সংসদীয় যক্ষ্মা ককাস। প্রধান অতিথি বলেন, পার্লামেন্টে থাকাকালীন অবস্থায় সম্মেলন করা দরকার।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ফখরুল ইমাম, এমপি, সংসদ সদস্য ও উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য, “সংসদীয় যক্ষ্মা ককাস”। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ডা. আজহারুল ইসলাম খান সিনিয়র টিবি মেটিগেশন কো অর্ডিনেশন এক্সপার্ট, এন টি পি / আইসিডিডিআার’বি, নওমি মান্নান, ম্যানেজার নলেজ ম্যানেজম্যান্ট আইসিডিডিআার’বি, শবনম জাহান, এমপি, এ্যাড: জাকিয়া তাবাসসুম এমপি, সুলতানা নাদিরা এমপি, জিন্নাতুল বাকিয়া এমপি ইত্যাদি প্রমুখ।
আফরোজা হক রীনা বলেন, অজ্ঞতা কুসংস্কার দূর করার জন্য সচেতনতা জরুরি।
সভাপতির বক্তব্যে আরমা দত্ত এমপি, বলেন, সচেতনতাই পারে যক্ষ্মা মুক্ত দেশ গঠন করতে। তাই সামাজিক সচেতনতা জরুরি। সকলকে যুক্ত করতে হবে, ডোনার , স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও এলাকার জনপ্রতিনিধিদের যুক্ত করতে হবে, ককাসের প্রয়োজনীয়তা প্রচারে সংসদে সভা করা।
মন্তব্য করুন