স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কর্তৃক বাংলাদেশ সাসটেইনেবল রিকভরি ইমারজেন্সি অ্যান্ড রেসপন বা বি-স্ট্রং প্রকল্পে দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালায় দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম।
২০২৪ সালের বন্যা পরবর্তী চট্রগ্রাম বিভাগের ছয় জেলা, ফেনী, নোয়াখালী, কুম্মিলা, লক্ষীপুর, চট্রগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জন্যে নেয়া বি-স্ট্রং প্রকল্পের বরাদ্দ করা হয় ১৯০৯ কোটি টাকা। এই প্রকল্পের কার্যক্রম শুরুর আগেই প্রকল্পের বিভিন্ন জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক দাম নির্ধারণ করার প্রমাণ পায় দুদক। তার প্রেক্ষিতেই এই অভিযান চালাযনো হয়।
অভিযান শেষে সহকারী পরিচালক পাপন কুমার সাহা বলেন, বি-স্ট্রং প্রকল্পের বিভিন্ন খাতে ব্যয় বেশি দেখানো হয়েছে। অভিযানে আমরা বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করি। প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে গত ২০ এপ্রিল। প্রকল্পের এখনো আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়নি, তবে প্রকল্পের বিভিন্ন জিনিসপত্রের অতিরিক্ত দাম নির্ধারণের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরাও অনুসন্ধানে আসি। এই প্রকল্পের ডিপিটি যিনি প্রস্তুত করেছেন তিনি আজ কার্যালয় উপস্থিত ছিলেন না।
পাপন কুমার সাহা বলেন, প্রকল্পের স্ট্রিট স্লোলার লাইট, একেকটার দাম ধরা হয়েছে ৭২ হাজার টাকা, অথচ পরিকল্পনা কমিশন জানায় এই স্লোলার লাইটের প্রয়োজন নেই। ৬০টি মোটরসাইকেলের প্রস্তাব করা হলে পরিকল্পনা কমিশন থেকে ৩৬টি কেনার কথা বলা হয়। কম্পিউটার ল্যাপটপ বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণসহ অন্যান্য ব্যয় দেখানো হয়েছে তা অস্বাভাবিক মনে হয়েছে। এ ছাড়া ৪টি ল্যাপটপের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ লাখ টাকা। ১৯০৯ কোটি টাকার এই প্রকল্পে বিশ্ব ব্যাংক অর্থায়ন করবে ১৬৪৭ কোটি টাকা, বাকি টাকা বাংলাদেশ সরকার অর্থায়ন করবে।
এই বিষয়ে এলজিআইডি প্রধান কার্যালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট চিপ আব্দুল মান্নান বলেন, আমাদের চিপ ইঞ্জিনিয়ার ঢাকার বাহিরে অবস্থান করছে। এ প্রকল্পের এখনো কাজ শুরু হয়নি, কেবল একনেকে উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রকল্পের দুর্নীতি নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের কোনো প্রকল্পে কোনো অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে অ্যাকশন গ্রহণ করা হয় এবং তাকে সাসপেন্ড করা হয়। যেখানে অনিয়ম হয়েছে ওখানে সাসপেন্ড হচ্ছে।
মন্তব্য করুন