দক্ষিণ কোরিয়ার মৌসুমি ভিসায় (ই-৮ ভিসা ক্যাটাগরি) মৎস্য খাতে প্রথম ব্যাচে বাংলাদেশি ২৫ জন কর্মী দেশটিতে পৌঁছেছেন। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় ২টা ইনচন বিমানবন্দরে নিরাপদে পৌঁছান তারা।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের (বোয়েসেল) ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ওয়ানডো-গুন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সম্পাদিত সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী বরিশাল বিভাগের আওতাধীন জেলা/উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর থেকে গত মার্চ ফিশারম্যান আইডি কার্ড (এফআইডি)-ধারী ৫০ জন মৎস্যজীবী মৌসুমি প্রার্থীকে নির্বাচন করা হয়েছে। তাদের মধ্য থেকে ৩৬ জনের সিসিভিআই (সার্টিফিকেট ফর কনফারমেশন অব ভিসা ইস্যুয়েন্স) পাওয়া গেছে।’
‘সেন্ড-অফ প্রোগ্রাম’-এ ২৫ জন কর্মীকে বিদায় জানান বোয়েসেলের কর্মকর্তারা
সরকারি এই রিক্রুটিং এজেন্সি আরও জানায়, ‘উক্ত প্রার্থীদের মধ্যে ২৫ জনের ভিসা প্রক্রিয়ার সব কার্যক্রম সম্পন্ন করে নির্ধারিত ১০০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করে গতকাল দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছে এবং মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বেলা ২টা দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচন এয়ারপোর্টে নিরাপদে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন। ১১ জনের ভিসা প্রক্রিয়াসহ ও নির্ধারিত প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়াধীন আছে। অপরদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার ইমিগ্রেশন কর্তৃক ১০ জনের সিসিভিআই বাতিল করেছেন। অবশিষ্ট ৪ জনের সিসিভিআই ইস্যুর প্রক্রিয়াধীন আছে।’
বোয়েসেল জানায়, ‘দক্ষিণ কোরিয়া কোরিয়ায় যাওয়া মৌসুমি কর্মী ২৫ জনের মধ্যে রোস্টারভুক্ত ইপিএস প্রার্থী ও FID-ধারী ৫ জন ছিল। আমরা আশা করছি ২৫ জন সঠিকভাবে কাজ করলে এ খাতে প্রচুর কর্মী প্রেরণের সুযোগ সৃষ্টি হবে। ফলে দক্ষিণ কোরিয়ার মৌসুমি নিয়োগকর্তার চাহিদা অনুযায়ী ডিলিট/রোস্টারভুক্ত কোনো ইপিএস প্রার্থীর সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞতা থাকলে, তাদের নির্বাচনে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।’
অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের ফেসবুক পেজে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘দক্ষিণ কোরিয়ার ওয়ানডো কাউন্টি এবং বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের পরিপ্রেক্ষিতে মৌসুমি কর্মীদের (ই-৮ ভিসা ক্যাটাগরি) প্রথম ব্যাচ আজ দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছেছে। বাংলাদেশ দূতাবাস মৌসুমি কর্মীদের ইনচন বিমানবন্দরে স্বাগত জানায়।’
দূতাবাস আরও জানায়, ‘প্রথম ব্যাচের ২৫ জন মৌসুমি কর্মী মৎস্য খাতে ওয়ানডো কাউন্টিতে অবস্থিত বিভিন্ন মৎস্য কোম্পানিতে কাজ করবেন। বিদেশি মৌসুমি কর্মীরাও দক্ষিণ কোরিয়ার মৎস্য ও কৃষি খাতে কাজ করে থাকেন। ভবিষ্যতে এ প্রক্রিয়া চলমান থাকবে বলে জানায় দূতাবাস।’
মন্তব্য করুন