সড়ক দুর্ঘটনারোধে সামাজিক আন্দোলন ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ (নিসচা)-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হয়েছেন মিরাজুল মইন জয়।
২৮ এপ্রিল (সোমবার) গণমাধ্যমকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত ২৪ এপ্রিল নিরাপদ সড়ক চাই কেন্দ্রীয় কমিটির এক জরুরি সভায় তাকে এ দায়িত্বভার প্রদান করেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চন।
উল্লেখ্য, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন সম্প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতির ময়দানে নাম লিখিয়েছেন। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) নতুন রাজনৈতিক দল ‘জনতা পার্টি বাংলাদেশ’-এর আত্মপ্রকাশের মাধ্যমে শুরু হয় তার এ নতুন যাত্রা। রাজনীতির ঘোষণা শেষ করেই শনিবার তিনি জরুরি প্রয়োজনে যান লন্ডনে।
নিসচার পক্ষ থেকে জানানো হয়, নিরাপদ সড়ক চাই একটি সামাজিক আন্দোলন এবং অরাজনৈতিক একটি সংগঠন। দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে এই সংগঠনের কার্যক্রম সারাদেশে চলমান রয়েছে। সারাদেশে থাকা সকল শাখা সংগঠনের নেতাদের জন্য নিসচা কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে একটি ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। যা নিম্নে তুলে ধরা হলো: সুপ্রিয় সহযোদ্ধাবৃন্দ, আন্তরিক শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন। আপনাদের উদ্দেশ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করতে চাই।
আপনারা ইতোমধ্যে জেনেছেন, নিসচার প্রতিষ্ঠাতা ও সম্মানিত চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেছেন। ফলে অনেকেই জানতে চেয়েছেন : ‘এ অবস্থায় আমাদের প্রাণের সংগঠন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-এর ভূমিকা ও অবস্থান কী হবে?’
এই প্রসঙ্গে সুস্পষ্ট ও নির্ভরযোগ্য বার্তা হলো-
১. নিসচা একটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক সংগঠন, যা তার নিজস্ব গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পরিচালিত হবে। নতুন কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নিসচার কোনো সংযুক্তি নেই এবং ভবিষ্যতেও থাকবে না। তবে কেন্দ্রীয় কমিটির কেউ রাজনৈতিক দলে যোগদানের আগ্রহ প্রকাশ করেন তাহলে নেতৃত্ব থেকে পদত্যাগ করে রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে পারবেন। উল্লেখ্য তিনি সংগঠনের (নিসচা) সাধারণ সদস্য থাকতে পারবেন।
২. নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণার আগেই ইলিয়াস কাঞ্চন সংগঠনের নেতৃত্বের দায়িত্ব তার যোগ্য উত্তরসূরি মিরাজুল মঈন জয়-এর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেছেন। এখন থেকে তিনি নিসচার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
৩. নিসচা শাখাসমূহের সদস্যদের প্রতি পরিষ্কার বার্তা : কাউকে নতুন রাজনৈতিক দলে যোগদানের জন্য কোনো চাপ বা নির্দেশনা নেই। একইভাবে, ওই দলের কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডা নিসচার মাধ্যমে বাস্তবায়নেরও প্রয়োজন নেই। যদি কেউ রাজনৈতিক দলে যোগদানের আগ্রহ প্রকাশ করেন তাহলে শাখা সংগঠনের নেতৃত্ব থেকে পদত্যাগ করে রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে পারবেন। উল্লেখ্য তিনি সংগঠনের (নিসচা) সাধারণ সদস্য থাকতে পারবেন।
৪) নিসচা তার মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অনুযায়ী- সড়ক নিরাপত্তা উন্নয়ন এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে আগের ধারাবাহিকতায়ই কাজ চালিয়ে যাবে।
মন্তব্য করুন