৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) কর্তৃপক্ষ। রোববার (২৭ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে এ তথ্য জানানো হয়।
৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা স্থগিতসহ পিএসসি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। রোববার রাতেও তারা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করেন। আন্দোলনের মধ্যেই পরীক্ষার স্থগিতের ঘোষণা আসে।
আন্দোলনকারীদের প্রধান দাবিগুলো হলো-
১. ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নতুন করে তৈরি করা।
২. ৪৪তম বিসিএসের ভাইভা শেষ করার পর ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া।
৩. খাতা মূল্যায়নের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে কমিশনের ভেতরে বসে খাতা দেখানোর ব্যবস্থা করা।
৪. দ্রুত পিএসসির সদস্য সংখ্যা ২৫ থেকে ৩০ জনে বাড়ানো।
৫. ভাইভা শেষ হওয়ার পর এবং চূড়ান্ত ফল প্রকাশের আগে ক্যাডার চয়েস পরিবর্তনের সুযোগ দেওয়া।
এ ছাড়া আরও কিছু দাবি রয়েছে, যেমন- ৪৫তম থেকে ৪৭তম বিসিএসের ক্ষেত্রে ভাইভার আগে ক্যাডার পছন্দ সংশোধনের সুযোগ রাখা, প্রিলিমিনারি পরীক্ষার কাট-অফ মার্কসহ প্রিলি, লিখিত এবং ভাইভার নম্বর প্রকাশ করা, লিখিত পরীক্ষার রুটিন অন্তত দুই মাস আগে প্রকাশ করা, সুপারিশ প্রক্রিয়া নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ করা, ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ায় হয়রানি কমাতে উদ্যোগ নেওয়া, গেজেট প্রকাশের প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ করা ও ৪৪তম বিসিএসে ক্যাডার পদ সংখ্যা বৃদ্ধি এবং নন-ক্যাডার বিধিমালা ২০২৩ সংস্কার করা।
গত ৯ এপ্রিল পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার শাখা) মাসুমা আফরীনের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানো বাস্তবসম্মত নয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যদি কোনো প্রার্থীর ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা ও ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা একই দিনে পড়ে, তাহলে পিএসসি বিষয়টি জানালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো গুরুত্বের সঙ্গে পর্যালোচনা করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, কমিশন বর্তমানে ৪৪, ৪৫, ৪৬ ও ৪৭তম বিসিএসসহ নন-ক্যাডার নিয়োগসংক্রান্ত বিভিন্ন জট নিরসনে সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। এই পরিকল্পনায় প্রার্থীদের সার্বিক প্রস্তুতি এবং দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার অবসানের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আগামী ৮ মে ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে পরীক্ষার তারিখ পিছিয়ে দেওয়ার দাবিতে একদল প্রার্থী আন্দোলন শুরু করেন এবং তিনদিনের মধ্যে নতুন তারিখ ঘোষণার জন্য আলটিমেটাম দেন।
মন্তব্য করুন