দুর্নীতির অভিযোগ তুলে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ দাবি করেছে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম।
রোববার (২৭ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও টেন্ডার সংক্রান্ত তদবির বাণিজ্যে লিপ্ত ছিলেন এই দুই উপদেষ্টার সহকারীরা। এর মাধ্যমে মোয়াজ্জেম হোসেন প্রায় ৪ শত কোটি টাকা আয় করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও তুহিন ফারাবি ও ডা. মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধেও।
এতে বলা হয়, অভিযুক্তদের পেছনে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ছিল, যার কারণে তারা এতদূর যেতে সক্ষম হয়েছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে- তাদের নির্দেশদাতা বা দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টারা কি দায় এড়াতে পারেন?
সংগঠনটি বলছে, নৈতিক দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা এবং জনমনে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ প্রয়োজন। একইসঙ্গে, দুর্নীতিতে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
এদিকে দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধানে মোয়াজ্জেম হোসেন ও তুহিন ফারাবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেন এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও তুহিন ফারাবীকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন