আগামী দিনে বাংলাদেশে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ অব্যাহত রাখার এবং মাতারবাড়িতে একটি স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণে কারিগরি সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কাতার।
কাতারের শক্তিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সাদ বিন শেরিদা আল কাবি দোহায় আর্থনা সামিটের সাইডলাইনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে এ ঘোষণা দেন। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কাতারের শক্তিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী প্রধান উপদেষ্টাকে বললেন, আমরা যতটা সম্ভব বাংলাদেশকে সমর্থন করতে চাই, এবং আমরা তা করেই যাবো।
পোস্টে বলা হয়, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে ১৫ বছরের জন্য ১.৫-২.৫ এমটিপিএ এলএনজি সরবরাহের জন্য একটি সরকারি পর্যায়ে সেল-পারচেজ চুক্তি (এসপিএ) স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির আওতায় প্রতি বছর ৪০টি কার্গো আমদানি হচ্ছে।
এছাড়া ২০২৩ সালের জুনে আরও ১.৫ মিলিয়ন টন এলএনজি সরবরাহের জন্য দ্বিতীয় এসপিএ স্বাক্ষরিত হয়, যা কার্যকর হবে জানুয়ারি ২০২৬ থেকে। তবে এই এলএনজি এসপিএ সম্পর্কিত সমঝোতা স্মারক ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যায়, এবং কাতার তা পুনরায় নবায়নের প্রতিশ্রুতি দেয়।
কাতার প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা এমওইউ এখনই স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত। তিনি আরও বলেন, দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিই সরবরাহ নিরাপত্তার সেরা উপায়।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আমরা আমাদের জ্বালানি খাত নতুন করে সাজাতে কাতারের সহযোগিতা চাই।
জ্বালানি উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ফউজুল কবির খান বলেন, বাংলাদেশ একটি স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা করছে, যার মাধ্যমে কাতার থেকে আমদানি করা এলএনজি পাইপলাইনের মাধ্যমে রি-গ্যাসিফাই করে সরবরাহ করা হবে। মাতারবাড়ি, কক্সবাজারে এ টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
তিনি জানান, বর্তমানে বাংলাদেশের টার্মিনালগুলো বছরে ১১৫টি এলএনজি কার্গো গ্রহণ করতে সক্ষম। এ সংখ্যা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
বৈঠকে আরও জানানো হয়, কাতার বাংলাদেশে ইউরিয়া সার রপ্তানি বাড়ানোরও পরিকল্পনা করছে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান আশিক মাহমুদ, এসডিজিবিষয়ক সচিব লামিয়া মোরশেদ এবং জ্বালানি সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
মন্তব্য করুন