স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর পুলিশে নিয়োগ-বাণিজ্য বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। বদলি-বাণিজ্যও নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।’
এ সময় তিনি বলেন, থানার ওসিদের (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) ঘুষ নেওয়া বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ৩টায় যশোর জেলার সরকারি বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
গণঅভ্যুত্থানের সময় লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি জামিনে মুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নজরে রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশকে মাঠে কাজে নামতে হবে। তবে পুলিশ সিভিল ড্রেসে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না। পুলিশে তেলবাজি ব্যবস্থা ফেরার চেষ্টা হচ্ছে। এটা বন্ধ করতে হবে। আইনশৃঙ্খলাব্যবস্থার উন্নয়নে কমিউনিটি পুলিশিং বাড়াতে হব।’
মাদকের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থান গড়ে তুলতে হবে। মাদক বন্ধে অ্যাকশন না নিলে চাকরি থাকবে না। আমরা নিরাময় কেন্দ্র খুলতে চাই না, মাদক বন্ধ করতে চাই।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘তদবিরপ্রথা এখনো বন্ধ হয়নি। অনেকেই তদবির করেন। উপদেষ্টা হওয়ার পর আমার আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের সংখ্যা বেড়ে গেছে। যাদের অনেককে আমি চিনিও না। ফলে আমার নামে কেউ তদবির করলে প্রথমে চা-নাশতা খাওয়াবেন। তারপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেবেন।’
মতবিনিময় সভায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকার লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ, যশোর সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল জেএম ইমদাদুল ইসলাম, বাংলাদেশ পুলিশের খুলনা বিভাগের ডিআইজি মো. রেজাউল হক, জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার রওনক জাহানসহ সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন