জাতীয় ভূমি ও কৃষি সংস্কার এবং পরিবেশ সুরক্ষা কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে ১৩ সংগঠন। রোববার (২০ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
‘সার্বিক ভূমি ও কৃষি সংস্কারের নাগরিক প্রস্তাবনা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনটি যৌথভাবে আয়োজন করে এএলআরডি, নিজেরা করি, টিআই-বি, বেলা, মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন, ব্লাস্ট, এইচডিআরসি, আইন ও সালিশ কেন্দ্র, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, বারসিক, নাগরিক উদ্যোগ, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, এবং কাপেং ফাউন্ডেশন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এএলআরডি এর নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য আশু করণীয় বিষয়গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রস্তাবনার মধ্যে আছে- একটি স্থায়ী জাতীয় ভূমি ও কৃষি সংস্কার এবং পরিবেশ সুরক্ষা কমিশন গঠন; সি এস রেকর্ডসহ নির্ভরযোগ্য রেকর্ড অনুযায়ী খাস জমি এবং নগরের অকৃষি খাস জমির পূর্ণাঙ্গ জেলা-উপজেলা, পৌর এলাকা ও মহানগর-ভিত্তিক তালিকা প্রণয়ন; অবিলম্বে খাস কৃষি জমি গ্রামীণ ভূমিহীন, প্রান্তিক কৃষক, কৃষিজীবী দলিত, সমতলের আদি জাতিগোষ্ঠীর ভূমিহীনদের মধ্যে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে বণ্টনের নির্দেশনা জারি করা; নারীদের ক্ষেত্রে সক্ষমপুত্র সন্তান থাকার অবৈধ, বৈষম্যমূলক বিধানটি অবিলম্বে বাতিল করা; কৃষি জমি সুরক্ষা আইন অবিলম্বে অধ্যাদেশ আকারে জারি করা এবং কৃষি জমি সুরক্ষার কঠোর সুব্যবস্থা নিশ্চিত করা; ভূমি জোনিং ব্যবস্থা সুচারু রূপে সম্পন্ন করে নগরায়ন, শিল্পায়ন, আবাসন এবং অন্যান্য প্রয়োজনে নিরিখে অকৃষি জমি শনাক্ত করা এবং একই সঙ্গে দুই/তিন ফসলা কৃষি জমিতে যে কোন সরকারি, বেসরকারি প্রকল্প না করা এবং থাকলে তা বাতিল করা, কৃষি জমিতে আবাসন কিংবা ইটের ভাটা অবিলম্বে উচ্ছেদ করা।
এএলআরডি এর চেয়ারপারসন খুশী কবির বলেন, আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে এর আগেও কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু সরকার সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে কোনো পদক্ষেপই নেয়নি। আমরা আগামী এক মাসের মধ্যে সংস্কার বিষয়ক একটি রিপোর্ট সরকারের কাছে জমা দেব।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনিন্দ্র কুমার নাথ, নাগরিক উদ্যোগের পরিচালক জাকির হোসেন, বেলা পরিচালক তাসনিম ইসলাম, মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান প্রমুখ।
মন্তব্য করুন