পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাবেক প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়াকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সম্প্রতি তাকে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে অনুসন্ধানাী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সাজিদ উর রোমান তাকে তলব করেন।
রোববার (২০ এপ্রিল) সকাল ১০টায় দুদকে হাজির হয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে বলা হয় তাকে। তবে আজ সিআইডি প্রধান দুদকে হাজির হননি বলে একটি সূত্র কালবেলাকে নিশ্চিত করেছে।
সাবেক এই সিআইডি প্রধান দুর্নীতি দমন কমিশনে সময় চেয়ে তার আইনজীবীর মাধ্যমে আবেদন করেছেন। তবে সেই আবেদনটি এখনো দুদকে পৌঁছায়নি বলে জানিয়েছেন অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা।
এর আগে গত ১৩ মার্চ সিআইডির সাবেক প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া ও তার দুর্নীতিতে সহায়তাকারী পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়। মোহাম্মদ আলী মিয়া ছাড়া বাকি পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন সিআইডির প্রশাসন শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মিনহাজুল ইসলাম, বিশেষ পুলিশ সুপার (ঢাকা মহানগর পশ্চিম) এ কে এম ইমরান ভূঁইয়া, সাইবার ক্রাইমের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল চাকমা, পরিদর্শক মানব শাহাজাদা ও পরিদর্শক মনিরুজ্জামান।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত ছিলেন মোহাম্মদ আলী মিয়া। দুই বছর সিআইডি প্রধান থাকাকালে তিনি কোনো নিয়ম নীতিকেই পরোয়া করেননি। মামলা রুজু, অভিযান, তদন্তের সিদ্ধান্ত থেকে নিষ্পত্তি সবকিছুই নিজস্ব সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতেন সাবেক সিআইডি প্রধান। এবার এই সিন্ডিকেটের বিপুল বিত্ত বৈভবের সন্ধানে সিআইডি সদর দপ্তরসহ বিভিন্ন স্থানে চিঠি দিয়েছে দুদক।
উল্লেখ্য, বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডার ১৫তম ব্যাচে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে ১৯৯৫ সালের ১৫ নভেম্বর চাকরিতে যোগ দেন মোহাম্মদ আলী মিয়া। ২০২২ সালের আগস্টে তিনি সিআইডিপ্রধান হন। গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর ১৩ আগস্ট মোহাম্মদ আলীকে সিআইডি থেকে সরিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। এরপর গত ২২ আগস্ট তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। মোহাম্মদ আলী মিয়ার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায়।
মন্তব্য করুন