সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০২৫-এর খসড়ায় নারী কোটা না রাখায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানিয়েছে, এতদিন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে ৬০ শতাংশ নারী কোটা ছিল, যা নারীর ক্ষমতায়নের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে কাজ করেছিল। নতুন বিধিমালার খসড়ায় সেই কোটার উল্লেখ না থাকায় বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বিবৃতিতে বলা হয়, একজন শিশুর প্রথম শিক্ষার স্তর হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা, যেখানে নারী শিক্ষকরা শিশুদের মনোজগত ও চাহিদা ভালোভাবে বুঝতে পারেন। শিশুর মানসিক ও সামাজিক বিকাশে মায়ের মতোই নারী শিক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ফলে নারী শিক্ষকের উপস্থিতি শুধু প্রাথমিক পর্যায়ে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতেই নয়, শিশুদের সুস্থ বিকাশে সহায়কও বটে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ মনে করে, দেশের সার্বিক প্রেক্ষাপটে এখনো নারীরা সব স্তরে সমান সুযোগ ও অংশগ্রহণ থেকে পিছিয়ে রয়েছে। এই অবস্থায় প্রাথমিক শিক্ষক পদে নারী কোটা বাতিল করা হলে তা নারীর ক্ষমতায়নের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
সংস্থাটি আরও বলেছে, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন, বিশেষ করে লক্ষ্য ৫ অনুযায়ী, নারীর ক্ষমতায়নে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা বহাল রাখা শুধু নারী উন্নয়ন নয়, বরং একটি সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার অন্যতম শর্ত। তাই বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনার জন্য আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
মন্তব্য করুন