তুরস্কে চলমান আন্তালিয়া কূটনৈতিক ফোরামে অংশ নিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। এ সময় তিনি তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডের ‘ওয়ান অন ওয়ান’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। এতে সরকার কোন কাজগুলো করতে চায় তা নিয়ে কথা বলেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
টিআরটি ওয়ার্ল্ড জানিয়েছে, সরকারের রাজনৈতিক সংস্কার, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ এবং ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন এবং আন্তর্জাতিক কূটনীতির প্রতি বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কেও কথা বলেন তিনি।
সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্রর উপদেষ্টার কাছে জানতে চাওয়া হয়, শেখ হাসিনা পালানোর পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়। এ সময় নতুন সংবিধান ও আগাম নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এ প্রক্রিয়া এখন কোন অবস্থায় রয়েছে?
জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমরা নতুন সংবিধান আসছে এমন কোনো কথা সরাসরি বলিনি। বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত নয়। জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলো থেকে এ সিদ্ধান্ত আসবে। তারা সংস্কার নাকি পুরোপুরি নতুন সংবিধান চায় তার ওপর বিষয়টি নির্ভর করছে। আমাদের দৃষ্টিতে সবচেয়ে জরুরি কাজ হলো আইনের ফাঁকফোকরে বিগত সরকার স্বৈরতন্ত্র কায়েম করেছিল এবং গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছিল। আমরা চাই এগুলো যেন আর ফিরে না আসে।
তিনি বলেন, সরকার মানুষের দাবি মেটাতে এসেছে। যারা জীবন দিয়েছে, আন্দোলন করেছে তারা একটি টেকসই ব্যবস্থা চায় যেখানে আর কেউ ক্ষমতার অপব্যবহারের সুযোগ না পায়। এজন্য ইতোমধ্যে কয়েকটি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। তারা সুপারিশ জমা দিয়েছে। এগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে। সামনে বড় কাজ হলো এগুলো কিভাবে বাস্তবায়ন করা যায়।
নির্বাচন বা সংবিধান বদলের বাইরে সরকারের অগ্রাধিকার কী এমন প্রশ্নের জবাবের উপদেষ্টা বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো অর্থনীতি। গত ১৫ বছরের শাসনামল একপ্রকার লুটপাটের শাসনে পরিণত হয়েছিল। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪২ থেকে কমে ২০ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছিল। এ সময়ে হাজার হাজার কোটি টাকা দেশের বাইরে পাচার হয়েছে। আমরা এখন অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। ব্যাংকগুলো যেন পুনরায় ঘুরে দাঁড়াতে পারে এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে শক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
মন্তব্য করুন