মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে বর্ষবরণ আয়োজন সফল: ঢাবি ভিসি

ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান। ছবি : সংগৃহীত
ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেছেন, বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায় অনেক বাধা বিপত্তি ছিল, অযৌক্তিক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছিল। সবার সহযোগিতায় ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে এ আয়োজন সফল হয়েছে।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে সংক্ষিপ্ত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব এ কথা বলেন।

অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ বলেন, মাত্র ৮ দিনের মধ্যে এমন আয়োজন করাটা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। নানা ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে এমন আয়োজন সফল হয়েছে।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, বড় মাপের একটি উৎসব আমরা বাধা-বিপত্তি ছাড়াই শেষ করতে পেরেছি। কঠিন সময়ে সাংবাদিকরা আমাদের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্নভাবে ছিলেন।

উপাচার্য আরও বলেন, যে উদ্দেশ্য নিয়ে জাতিসংঘ আমাদের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিয়েছিল, সেখানে তিনটি বিষয়। একটি ছিল আমাদের যত নৃগোষ্ঠী আছে এবং সংস্কৃতি আছে তা যেন তুলে ধরতে পারি। এবার কিন্তু সেটিই করা হয়েছে। এবার সব থেকে জাকজমকপূর্ণ এবং সবচেয়ে বৈচিত্রপূর্ণ শোভাযাত্রা বের করা হয়েছে।

এর আগে, সকাল ৯টায় শুরু হওয়া বর্ণাঢ্য বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রার র‍্যালি সাড়ে ১০টার দিকে আবার চারুকলা অনুষদের সামনে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রাটি চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শাহবাগ মোড় হয়ে টিএসসি দিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যায়। সেখান থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর ঘুরে টিএসসি হয়ে আবার চারুকলা অনুষদের সামনে এসে শেষ হয়।

শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ প্রমুখ।

শোভাযাত্রার সামনে ছিল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সুসজ্জিত একটি ঘোড়ার বহর। এরপরই ছিল দেশের ২৮টি নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মানুষ। এরপর ছিল চারুকলা অনুষদের মূল ব্যানার। আরও ছিল ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি, মাছ, শান্তির পায়রা, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নাম, পানির বোতল, ৩৬ জুলাইয়ের একটি মোটিফ, ১০০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি স্ক্রল প্রভৃতি।

শোভাযাত্রায় ৭টি বড়, ৭টি মাঝারি ও ৭টি ছোট মোটিফসহ মোট ২১টি মোটিফ প্রদর্শন হয়। এবারের শোভাযাত্রার মূল মোটিভ ছিল ‘স্বৈরাচারের প্রতিকৃতি’। তাছাড়া, পায়রা, মাছ, বাঘ ও মুগ্ধর আলোচিত পানির বোতল প্রদর্শন হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ববিতে ছাত্রলীগ নেত্রীকে আটক করে পুলিশে দিল ছাত্রদল

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ফিচারসমৃদ্ধ স্মার্ট প্রযুক্তিপণ্য প্রদর্শন করছে ওয়ালটন

সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যু

চাঁদা দাবি করে বিএনপিপন্থি চিকিৎসককে ছাত্রদল নেতার মারধরের অভিযোগ

চট্টগ্রামে মার্কেটে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৬ ইউনিট

শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে যুবক আটক

জাল তালাকনামা ব্যবহারে আসামি রুহুলের ৪ বছরের কারাদণ্ড

এলডিসি উত্তরণের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

লোহিত সাগরে হেরে গেল যুক্তরাষ্ট্র!

গণঅধিকার পরিষদ ছেড়ে নতুন রাজনৈতিক দলে যুক্ত হচ্ছেন ফাতিমা তাসনিম

১০

কেমন ছিল জিম্বাবুয়ের প্রথম বাংলাদেশ সফর?

১১

সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির দুই শীর্ষ নেতাসহ ৮ জনকে বহিষ্কার

১২

‘চীনা হাসপাতালের সঠিক দাবিদার পঞ্চগড়’

১৩

পরিবেশকে স্বাস্থ্যকর রাখা মানব সভ্যতার সঙ্গে সম্পর্কিত : ঢাবি ভিসি

১৪

বর্ষবরণে বাধা সৃষ্টি, দোষীদের শাস্তির দাবি উদীচীর

১৫

বৃষ্টি ঝরবে পাঁচ দিন, সহনশীল থাকবে তাপমাত্রা

১৬

গাইবান্ধা-২ আসনের সাবেক এমপি শাহ সরওয়ার কবীর গ্রেপ্তার

১৭

ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগে সাবেক সিআইডি প্রধানের বিরুদ্ধে মামলা

১৮

গাজা স্বাধীন করা নিয়ে নাসির উদ্দিনের নামে প্রচার, যা জানা গেল

১৯

ফিলিস্তিনকে সংহতি জানিয়ে গ্রিন ডে’র গানের কথায় পরিবর্তন

২০
X