স্টার্টআপ বাংলাদেশের এমডি সামি আহমেদের অপসারণ ও সকল দুর্নীতিবাজদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বৈষম্যবিরোধী আইটি উদ্যোক্তা কাউন্সিল।
রোববার (১৩ এপ্রিল) এসব দাবিতে আগারগাঁও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সামনে মানববন্ধন করেন তারা।
এ সময় তারা বলেন, স্টার্টআপ বাংলাদেশ কর্তৃক পরিচালিত বিনিয়োগ কার্যক্রমে সামি আহমেদের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি, রাজনৈতিক প্রভাব এবং দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ইতোমধ্যে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন, উদ্যোক্তাদের সরাসরি অভিযোগ এবং প্রকাশ্য প্রতিবাদ থেকে বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে যে, তার নেতৃত্বে স্টার্টআপ বাংলাদেশ প্রকল্পের স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা চরমভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
নিম্নোক্ত কারণে সামি আহমেদের অপসারণের দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী আইটি উদ্যোক্তা কাউন্সিল-
১. তিনি সরকারি বিনিয়োগকে ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করেছেন এবং স্বচ্ছতাবিহীনভাবে প্রায় ১৫টি স্টার্টআপে প্রায় ৮০ কোটি টাকা বিতরণ করেছেন, যার অধিকাংশই সাফল্য দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে।
২. প্রতিযোগিতামূলক ও দক্ষ উদ্যোগগুলো (যেমন: টেন মিনিট স্কুল) বিনিয়োগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে কেবল রাজনৈতিক সমীকরণ বা ব্যক্তিগত অনাগ্রহের কারণে।
৩. মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, তিনি একটি রাজনৈতিক সিন্ডিকেটের অংশ, যার মাধ্যমে সরকারি অর্থ ও প্রকল্পের অপব্যবহার হয়েছে।
৪. এ নিয়ে ২০২৫ সালের ১৯ মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে প্রযুক্তি উদ্যোক্তারা সরব প্রতিবাদ করেছেন।
৫. সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে তার অবস্থান ও কার্যকলাপ সরকারি কর্মচারী আচরণবিধি, সরকারি অর্থব্যবস্থা ও বিনিয়োগ নীতিমালার পরিপন্থি।
সেই সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী আইটি উদ্যোক্তা কাউন্সিল কয়েকটি প্রস্তাবনাও পেশ করেছেন তা হলো-
ক) সামি আহমেদের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে তার সমস্ত কার্যক্রমের নিরীক্ষা করা হোক।
খ) তদন্তকালীন সময়ে তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক।
গ) স্টার্টআপ বাংলাদেশ প্রকল্পের বিনিয়োগ ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে নতুন স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক গাইডলাইন প্রণয়ন করা হোক।
মন্তব্য করুন