রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে ফিলিস্তিনের জন্য কাঁদলেন লাখো মানুষ। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ও শান্তি কামনায় করা বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেওয়া লাখো মানুষের চোখে ছিল অশ্রু। ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলা, শিশু ও নারীদের মৃত্যু, ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া গাজা উপত্যকার করুণ বাস্তবতা হৃদয়ে নিয়ে ফিলিস্তিনপ্রেমী লাখো জনতা প্রার্থনা করেন শান্তির জন্য।
শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেল ৩টা ৫০ মিনিট থেকে মোনাজাত শুরু হয়ে ৪টায় শেষ হয়।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক মোনাজাত করেন।
মোনাজাতে বলা হয়, ইসরায়েল ফিলিস্তিনে যে নৃশংসতা চালাচ্ছে, তা মানবতার ওপর চরম আঘাত। আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি, যেন তিনি নির্যাতিত মুসলমানদের রক্ষা করেন এবং ফিলিস্তিনকে স্বাধীনতার আলো দেখান।
একইসঙ্গে মোনাজাতে গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলা বন্ধ হওয়া, ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়াদের উদ্ধার ও আহতদের সুস্থতা, শিশু ও নিরীহ নাগরিকদের জীবন রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ, বিশ্বনেতাদের বিবেক জাগ্রত হওয়া, নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ওপর অব্যাহত আগ্রাসনের বিচার চেয়ে দোয়া করা হয়েছে।
এর আগে, ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিকেল সোয়া ৩টার দিকে মার্চ ফর গাজা কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট-বড় নানা বয়সি মানুষ মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একত্রিত হন। এতে এক হয়েছেন নানা ধর্ম-বর্ণের, সামাজিক সংগঠন ও সব রাজনৈতিক দলের মানুষ।
ইতিহাস সৃষ্টি করে এ কর্মসূচিতে শুধু ফিলিস্তিনের জন্য এক মঞ্চে দাঁড়িয়েছেন বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। এছাড়াও শিল্পী, কবি, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জনপ্রিয় ব্যক্তিরাও যোগ দিয়েছেন কর্মসূচিতে। দল-মত নির্বিশেষে এক কাতারে সবাই এ কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে ইসরাইলের গণহত্যা বন্ধের দাবি জানান।
সমাবেশে উপস্থিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও এর পেছনের কুশীলবদের বিচারের আওতায় আনতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন