ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। কর্মসূচিতে অংশ নিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান যেন এক টুকরো ফিলিস্তিন। কর্মসূচি সফল করতে সারা দেশ থেকে অংশগ্রহণ করেছেন হাজার হাজার মানুষ।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জায়গা না পেয়ে মৎস্য ভবন, উচ্চ আদালত, প্রেস ক্লাব, কাকরাইল, রমনা পার্ক, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়কে মানুষ জড়ো হন। এ দিকে তীব্র তাপদাহে হাঁসফাঁস অবস্থা মার্চ ফর গাজা কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া মানুষদের।
এমন অবস্থায় মানুষের তৃষ্ণা মেটাতে এগিয়ে এসেছে একদল স্বেচ্ছাসেবক। তারা পিকআপভ্যানে করে বিনামূল্যে পানি, বিস্কুট, কেক বিতরণ করছেন। তাদের এমন আপ্যায়নে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন মার্চ ফর গাজায় আসা লোকজন।
শনিবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, মৎস্য ভবনের সামনের সড়ক দিয়ে হাজারো মানুষ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশের চেষ্টা করছেন। তবে তার আগেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জায়গা না থাকায় মানুষ তেমন এগোতে পারছেন না। তীব্র গরমে অনেককে অস্থির দেখা গেছে। তখন একদল যুবক পিকআপভ্যানে করে পানি বিতরণ করতে দেখা গেছে। আরেকটি পিকআপভ্যানে থেকে রুটি, চিপস, কেক বিতরণ করা হয়। মানুষ সারিবদ্ধভাবে খাবার সংগ্রহ করেন।
জানতে চাইলে পানির পিকআপভ্যানের দায়িত্বরত স্বেচ্ছাসেবক মোস্তফা কামাল বলেন, সাধারণত এমন বড় জমায়েত মানুষের পানির চাহিদা বেশি থাকে। তাই তারা কয়েকজন বন্ধু মিলে এক হাজার পানির বোতল বিতরণের উদ্যোগ নেন। মানুষ খুব আগ্রহ নিয়ে পানি নিচ্ছেন। এটা দেখে ভালো লাগছে।
তিনি আরও বলেন, গাজায় যুদ্ধের মধ্যে তীব্র পানি সংকট চলছে। কিন্তু আমরা সেখানে কোনো সহযোগিতা করতে পারছি না। বাংলাদেশে যারা গাজাকে সমর্থন করে এখানে এসেছেন তাদের পানি খাওয়াতে ভালো লাগছে।
মানিকগঞ্জ থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশে এসেছেন সুফিয়ান নামে একজন। তিনি তীব্র গরমের মাঝে পিকআপভ্যান থেকে পানি সংগ্রহ করে পান করেছেন। তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের পানির দোকান কম। সকালে যারা সমাবেশে এসেছেন তাদের অনেকেই ক্ষুধার্ত। এমন অবস্থায় বিনামূল্যে পানি ও অন্যান্য খাবার পেয়ে খুব ভালো লাগছে।
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে ‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম। তাদের ডাকা এই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে বিকেল ৩টায়। এছাড়া জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা আব্দুল মালেকের নেতৃত্বে নির্যাতিত ফিলিস্তিনের জন্য করা হবে মোনাজাত।
মন্তব্য করুন