বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:২১ পিএম
আপডেট : ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৫৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘বিনিয়োগ বোর্ডে হয়রানির শিকার হয়ে বহু বিদেশিকে কাঁদতে দেখেছি’

মাহবুব কবির মিলন। ছবি : সংগৃহীত
মাহবুব কবির মিলন। ছবি : সংগৃহীত

দেশ ধ্বংসের পেছনে অনেকাংশেই আমলারাই দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন।

বুধবার (০৯ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

পোস্টে তিনি লেখেন, আপনারা কি জানেন বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা বিডা (পূর্বের বোর্ড অব ইনভেস্টমেন্ট) কোন মন্ত্রণালয়ের আন্ডারে। মন্ত্রী কে? সচিব কে? সেই বিডা বা আগের বিওআই-কে যদি নিধিরাম সর্দার করে রাখা হয়, সেই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিব বা অফিসে বিডার কোনো পাত্তা না থাকে, গুরুত্ব না থাকে, চিঠিপত্র পড়ে থাকে। বিডার কথা বা চিঠির গুরুত্ব যদি অন্যকোনো সরকারি অফিস না দেয়। বিডার নাম শুনলে যদি অন্য অফিস হাসি তামাশা করে।

বিডা প্রাণান্তকর চেষ্টা করার পরেও মন্ত্রী, সচিবদের অসহযোগিতার কারণে যদি বিনিয়োগকারীরা ফিরে যায়। বিডার চেয়ারম্যান, কর্মকর্তাদের যদি হায় হায় করে মাথা চাপড়াতে হয়।

বিডার একাধিক চেয়ারম্যানকে যদি আফসোস করে বলতে হয়, ‘কিছুই করতে পারলাম না। কেউ কথা শোনেনা।’ তাহলে বলতে পারেন, দেশে বিনিয়োগ বাড়বে কীভাবে! বিদেশিরা বাড়িঘর ফেলে হাজার হাজার মাইল দূরে আপনার দেশে এসে বিনিয়োগ করবে কেন!

মাহবুব কবীর লেখেন, চট্টগ্রামে অন্যান্য সরকারি অফিস থেকে ভয়াবহ হ্যারাসমেন্টে শিকার হয়ে বিনিয়োগ বোর্ডে আমার অফিসে এসে কেঁদে ফেলত বিদেশিরা। চাইনিজ, জাপানিজ অনেক বিনিয়োগকারীকে কাঁদতে দেখেছি। আমার অফিসের সবাই তার সাক্ষী। বলতে পারেন, এই দেশে এফডিআই বাড়বে কীভাবে!

তিনি আরও লেখেন, বর্তমান চেয়ারম্যানের আগে এমন একজনকে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, যার অর্ডার দেখে আমি শুধু হতভম্ব নই, হার্টফেল করার উপক্রম হয়েছিল। হার্টফেল করার উপক্রম হয়েছিল অনেকের। সেটাই ছিল বিডা নামক কফিনের শেষ পেরেক।

তিনি লেখেন, এই দেশ ধ্বংসের পিছনে অনেকাংশেই আমলারাই দায়ী। বিশেষ করে গত ১৬ বছরের কিছু আমলা। এদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া প্রয়োজন ছিল।

মাহবুব কবীর মিলন ফেসবুক পোস্টে প্রশ্ন রাখেন, কী! বিডার মন্ত্রণালয়, সচিব কে?

তিনি লেখেন, পিএম অফিস। সচিব হচ্ছে, পিএম অফিসের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি এবং পিএম এর সেক্রেটারি। এখন প্রধান উপদেষ্টার অফিস বা কার্যালয়। তিনিই মন্ত্রী বিডার। এবার বুঝলেন, বর্তমানে ব্যাটে-বলে ফাটাফাটি কেমন হচ্ছে, কেন হচ্ছে এবং কেমন হতে পারে!

এই কম্বিনেশনই দরকার প্রত্যেক সরকারি অফিসে। ৩০ বছর চাকুরি করেছি, আকুল হয়ে অপেক্ষা করেছি, এমন একটি মাহেন্দ্রক্ষণ বা কম্বিনেশনের। পাইনি, যা পেয়েছি, তা ছিল গতানুগতিক।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইসরায়েলিদের নিয়ে ব্রিটিশ রানির বিস্ফোরক মন্তব্য প্রকাশ্যে

পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে যে আহ্বান জানাল ছাত্রশিবির

‘শোভাযাত্রার পেছনের শিল্পীদের বিদেশ থেকে হুমকি’

ইসরায়েলের স্বপ্নভঙ্গ : বাংলাদেশ দিল শেষ সিদ্ধান্ত

নববর্ষে গুণী ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সম্মাননা দিল সীবলী সংসদ

এবার সিরাজগঞ্জ জেলা যুবদল সভাপতি-সম্পাদককে শোকজ

ছোট ভাইয়ের ধাক্কায় প্রাণ গেল বড় ভাইয়ের

আশুলিয়ায় সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে দুদকের হানা, যে প্রমাণ মিলল

চলন্ত বাসে কিশোরীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার দুই

মোদিকে ড. ইউনূসের সঙ্গে চুক্তি করতে বললেন মমতা

১০

এসএ গ্রুপের ‘চ্যাম্পিয়ন ডিলারস্‌ রিট্রিট’ অনুষ্ঠিত

১১

বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে চাল ও সুতা আমদানি বন্ধ

১২

দুদকের অভিযান / শরীয়তপুরে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে রাজস্ব ফাঁকি

১৩

একটি ময়লার ভাগাড়ে ব্যাহত হাজারো শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রম

১৪

চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ছাত্রদলের নিন্দা

১৫

আশুলিয়ায় পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ : ৬ দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ

১৬

বিশ্বের সবচেয়ে ঘৃণিত দেশের তালিকায় ভারতের নাম

১৭

সৌদি আরবে ২০ হাজার বাংলাদেশি গ্রেপ্তার দাবিতে প্রচার, যা জানাল রিউমর স্ক্যানার

১৮

সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে হাজির দুদক, ব্যাগে মিলল হাজার হাজার টাকা

১৯

কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকারে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা

২০
X