সাভারের সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অব দ্য প্যারালাইজড (সিআরপি) ক্যাম্পাসে জলবায়ু সহিষ্ণু বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ প্রযুক্তি প্রয়োগের পাশাপাশি ভূগর্ভস্থ পানির পুনঃসংস্থান ও টেকসইভাবে পানি ব্যবহারের সুযোগ বাস্তবায়নে কাজ করছে ওয়াটারএইড বাংলাদেশ। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ সরাসরি উপকৃত হবেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বিশ্ব পানি সপ্তাহ উপলক্ষে পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি (ওয়াশ) সুবিধা এবং পানি পুনঃসংস্থান বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সিআরপিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে কোকা-কোলা ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় সম্পন্ন ‘প্রোমোটিং ওয়াটার রিপ্লেনিশমেন্ট অ্যান্ড ওয়াশ সার্ভিসেস’ শীর্ষক প্রকল্পের ডিজাইন ও এ সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্তভিত্তিক অভিজ্ঞতা সবার সামনে উপস্থাপন করে ওয়াটারএইড বাংলাদেশ।
এ বছর পানি সপ্তাহের প্রতিপাদ্য ‘সিডস অব চেঞ্জ: ইনোভেটিভ সল্যুশনস ফর আ ওয়াটার-ওয়াইজ ওয়ার্ল্ড’ বিষয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সিআরপি’র শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন পর্যায়ের পেশাজীবীরা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিআরপি’র নির্বাহী পরিচালক ড. মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন এবং ওয়াটারএইড বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ও পলিসি অ্যাডভোকেসি ডিরেক্টর পার্থ হেফাজ শেখ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিআরপির চিফ অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন শাহ মো. আতাউর রহমান, ওয়াটারএইড বাংলাদেশের সিনিয়র অফিসার কমিউনিকেশন অরিত্র অঙ্কন মিত্র, অ্যাওয়ার্ড ম্যানেজমেন্ট সিনিয়র অফিসার রুবাইয়াত হামিদ, প্রোগ্রাম অফিসার সাইফুল করিম ও ওয়াটারএইড বাংলাদেশের অন্যান্য প্রকৌশলীরা।
এ বিষয়ে ড. মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন পরিবেশগত টেকসই এর প্রতি সিআরপি’র অঙ্গীকারের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন এবং একটি নতুন প্রচেষ্টা হিসাবে রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিংয়ের উদ্ভাবনী প্রকৃতির প্রশংসা করেন। তিনি কোকা-কোলা ফাউন্ডেশন এবং ওয়াটারএইড বাংলাদেশকে তাদের সহযোগিতা এবং এই উদ্যোগে অংশীদার হিসেবে সিআরপি নির্বাচন করার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, "আমরা আশাবাদী যে এই ধরনের উদ্যোগ পানি সংরক্ষণে সাহায্য করবে, যা একটি মূল্যবান সম্পদ এবং এইভাবে পানির পুনঃব্যবহার পরিবেশগত মূল্যও যোগ করবে"।
ওয়াটারএইড বাংলাদেশের পার্থ হেফাজ শেখ বিশ্ব পানি সপ্তাহের এই বছরের থিমের ওপর আলোকপাত করেন এবং কীভাবে এই সহযোগিতামূলক প্রয়াসটি এই বছরের থিমের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়েছে তা ব্যাখ্যা করেন।
তিনি সিআরপি’র সার্বিক সহযোগিতা ও উৎসাহের জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বলেন ‘আমরা আশাবাদী যে সিআরপিকে একটি জ্ঞানভিত্তিক কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলা হবে যা পানি কীভাবে সবচেয়ে দক্ষতার সাথে ব্যবহার করা যায় সে ব্যাপারে একটি জ্ঞানভান্ডার হিসেবে কাজ করবে’।
কোকা-কোলা ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট সাদিয়া মেডসবিয়ের্গ বলেন, ‘নিরাপদ পানীয় ব্যবহারের জন্য টেকসই সুযোগ তৈরিকে কৌশলগত অগ্রাধিকার দিয়ে বিবেচনা করে কোকা-কোলা ফাউন্ডেশন। বাংলাদেশে পানির প্রাপ্যতা উন্নত করতে অংশীজনদের কাজকে সহযোগিতা করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।’
অনুষ্ঠানে সবাই বৃষ্টির পানি পুনরায় ব্যবহারের মাধ্যমে পানি পুনঃসংস্থান ছড়িয়ে দিতে প্রত্যয় ও প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে ভবিষ্যতে টেকসই ও নিরাপদ পানীয় জল নিশ্চিতে অবদান রাখার ক্ষেত্রে নতুন ধারণা, উপলব্ধি ও সমাধানের উপায় সম্পর্কে জানার সুযোগ পান অংশগ্রহণকারীরা।
মন্তব্য করুন