মিয়ানমারে কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ ভূমিকম্প হয়েছে। এতে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ১ হাজার ৬৪৪ জন নিহত এবং ৩ হাজার ৪০৮ জন আহত হয়েছে। দরিদ্র ও যুদ্ধকবলিত দেশটির সামরিক শাসকরা শনিবার কয়েক শ বিদেশি উদ্ধারকর্মীকে দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছেন।
এ অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে জরুরি ভিত্তিতে বাংলাদেশ থেকে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারে ১৬ দশমিক ৫ টন ওষুধ, তাঁবু ও ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হয়েছে।
রোববার (৩০ মার্চ) দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের মহাপরিচালক (অপারেশন ও প্ল্যানিং) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আলিমুল আমীন।
মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলে ওই ভূমিকম্পের ফলে খাদ্য, পানি ও বাসস্থান সংকট এবং জরুরি চিকিৎসার অভাবে মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। প্রতিবেশী দেশের এই মানবিক বিপর্যয়ে বাংলাদেশ অত্যন্ত মর্মাহত।
প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর মাধ্যমে জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণসামগ্রী হিসেবে ওষুধ, তাঁবু, শুকনা খাবার এবং উদ্ধার ও চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য উদ্ধারকারী ও চিকিৎসা সহায়তা দল প্রেরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর দুটি পরিবহন বিমান জরুরি এসব ত্রাণসামগ্রীসহ মিয়ানমারের ইয়াংগুনের উদ্দেশে রওনা করে।
উল্লেখ্য, আজ যে ত্রাণসামগ্রী মিয়ানমারে পাঠানো হচ্ছে তা পরিকল্পিত ত্রাণ সহায়তার একটি অংশমাত্র। পরবর্তীতে, মিয়ানমার সরকারের অনুমতি প্রাপ্তি সাপেক্ষে আরও ত্রাণসহায়তা এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে উদ্ধারকারী ও চিকিৎসা সহায়তাকারী দল পাঠানো হবে।
উদ্ধার কার্যক্রমের জন্য বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ২৬ সদস্যের বিশেষজ্ঞ অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স থেকে ১০ সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এ ছাড়া চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে ১০ সদস্য এবং অসামরিক চিকিৎসকদের সমন্বয়ে ১১ সদস্যের দুটি মেডিকেল টিমও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
মন্তব্য করুন