বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করেছে চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে (পিকেইউ)।
শনিবার (২৯ মার্চ) স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সম্মানসূচক এই ডিগ্রি গ্রহণ করেছেন তিনি।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টা পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বনির্ধারিত এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং সেখানে বক্তব্য রাখেন।
ড. ইউনূস বলেন, চাকরি দাসপ্রথার চলমান ধারা। তবে মানবসত্তা স্বাধীন। তাই তরুণদের স্বাধীন উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যে নতুন বাংলাদেশের দায়িত্ব পেয়েছি, সেখান থেকে দারিদ্র্য দূর করাই প্রধান অগ্রাধিকার। তবে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথে অসংখ্য বাধা রয়েছে। তা কাটিয়ে উঠতে দেশের উন্নয়নে সব নাগরিকের অংশগ্রহণ দরকার।
তিনি আরও বলেন, সঠিক সুযোগের উন্নয়নের জন্য আমার দেশের অসংখ্য তরুণ যুদ্ধ করে যাচ্ছে। আমার দেশের মানুষ গরিব কারণ অর্থনৈতিক ব্যবস্থা তাকে দমন করে রেখেছে। এটিই আমার দেশের জনগনের সকল সমস্যার মূল।
ড. ইউনূস বলেন, প্রত্যেকটি নাগরিকের অধিকার আছে ভালো প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে চাকরির বাজারে প্রবেশ করার। তবে চাকরি একটি ভুল ধারণা। চাকরি সৃজনশীলতাকে নষ্ট করে।
এরও আগে বুধবার (২৬ মার্চ) চার দিনের সরকারি সফরে চীনে পৌঁছান তিনি। সফর চলাকালে শুক্রবার (২৮ মার্চ) দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এসময় বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার বিষয়ে একটি চুক্তি এবং আটটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
চীনে চার দিনের সফর শেষে আজ দেশে ফেরার কথা রয়েছে প্রধান উপদেষ্টার।
সফরকালে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রয়েছেন— পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফওজুল কবির খান, প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বিস্তারিত আসছে...
মন্তব্য করুন