চীন সরকার এবং সে দেশের বেসরকারি কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ, ঋণ এবং অনুদানের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশি কর্মকর্তারা এবং ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের বরাত দিয়ে শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রেস উইং থেকে শেয়ার করা তথ্যে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা চীনের বেসরকারি উদ্যোগগুলোকে বাংলাদেশে উৎপাদন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানানোর পর প্রায় ৩০টি চীনা কোম্পানি একচেটিয়া চীনা শিল্প অর্থনৈতিক অঞ্চলে এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
সেখানে বলা হয়, চীন মংলা বন্দর আধুনিকীকরণ প্রকল্পে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার, চীনা শিল্প অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়নে প্রায় ৩৫০ মিলিয়ন ডলার এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা হিসেবে আরও ১৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। বাকি অর্থ অনুদান এবং অন্যান্য ধরনের ঋণ হিসেবে আসবে।
চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে চীনে অবস্থান করছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব গ্রহণের পর এটি তার প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর। ফলে এই সফরকে বাংলাদেশের জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টার এই চীন সফরে বাংলাদেশ কী অর্জন করে তা নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা।
২৬ মার্চ (বুধবার) চীন সফর শুরু করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে শুক্রবার (২৮ মার্চ) সকালে বেইজিংয়ের পিপলস গ্রেট হলে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি। বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনার পর বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বেশকিছু চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের কর্মকর্তারা।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে, ড. ইউনূস চীনা বেসরকারি কোম্পানিগুলিকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য ‘সবুজ সংকেত’ দিতে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে অনুরোধ করেছেন। প্রেসিডেন্ট শি নিশ্চিত করেছেন যে তিনি চীনা কোম্পানিগুলিকে তাদের কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তর করতে উৎসাহিত করবেন।
প্রধান উপদেষ্টার এই সফর অনেক চীনা কোম্পানিকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে রাজি করতে করাতে একটি বড় ভূমিকা পালন করবে। ধারণা করা হচ্ছে, এটি এখন কেবল সময়ের ব্যাপার মাত্র।
মন্তব্য করুন