সংখ্যালঘু-আদিবাসী ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পোস্ট করা একটি প্রতিবেদনে দৈনিক কালবেলার নাম উল্লেখ করায় বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অনলাইন, টেলিভিশন চ্যানেল ও সংবাদপত্রে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ ও প্রচার হওয়ার পরও শুধু কালবেলার নাম প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রকৃত বিষয় হচ্ছে, দৈনিক কালবেলা অনলাইনসহ দেশের বিভিন্ন অনলাইন, টিভি ও সংবাদপত্রে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের বরাত দিয়ে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। মূলত বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ গত ১২ মার্চ এ-সংক্রান্ত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে। সেখানে বলা হয়, ‘ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু ও আদিবাসীদের ওপর সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। চলতি বছরের প্রথম দুই মাস জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে সংখ্যালঘু-আদিবাসীদের টার্গেট করে মোট ৯২টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।’ এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়েই গত ১২ ও ১৩ মার্চ গণমাধ্যমে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পোস্ট করা এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দৈনিক কালবেলায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়ে ৯২টি ঘটনার মধ্যে ৫৯টি ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলেও ৩৩টি ঘটনার কোনো সত্যতা বা অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশ পুলিশের প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের সেই প্রতিবেদনে এই খবরটি শুধু দৈনিক কালবেলায় প্রকাশিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়, যা সত্য নয়। দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমেও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি হিসেবে খবরটি প্রচার করা হয়। প্রতিবেদনটি দৈনিক কালবেলার নিজস্ব কোনো জরিপ বা বিশ্লেষণ নয়। অথচ প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের প্রতিবেদনে ‘দৈনিক কালবেলা প্রকাশিত’ খবর হিসেবে শুধু কালবেলার নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন