কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ মার্চ ২০২৫, ১১:৩৯ এএম
আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২৫, ১২:৪২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

শপথ নিলেন দুই বিচারপতি

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের (মাঝে) সঙ্গে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান (বাঁয়ে) ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব। ছবি : সংগৃহীত
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের (মাঝে) সঙ্গে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান (বাঁয়ে) ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব। ছবি : সংগৃহীত

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন এ কে এম আসাদুজ্জামান এবং ফারাহ মাহবুব। এর মধ্যদিয়ে আপিল বিভাগে বিচারপতির সংখ্যা দাঁড়াল ৭ জনে।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেজ লাউঞ্জে তাদের শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

এর আগে, গতকাল সোমবার এই দুই বিচারপতিকে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। পরে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাদের নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৫-এর দফা (১)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি ফারাহ মাহবুবকে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক পদে নিয়োগদান করেছেন। এই নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।

সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে বলা হয়, সুপ্রিম জুডিসিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিলের সুপারিশ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শক্রমে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের ওই দুই বিচারপতিকে আপিল বিভাগের বিচারপতি পদে নিয়োগ দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, বিচারপতি আসাদুজ্জামান ১৯৮৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর জেলা আদালতে আইনজীবী হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৮৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর তিনি হাইকোর্ট বিভাগের এবং ২০০১ সালের ২৫ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী হন। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট বিচারপতি আসাদুজ্জামানকে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক নিয়োগ করা হয়। ২০০৫ সালে তিনি হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হন। সম্প্রতি তিনি একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়সহ বেশ কিছু আলোচিত মামলায় রায় দেন।

বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ১৯৯২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর জেলা আদালতের একজন উকিল হিসেবে নথিভুক্ত হন। তিনি ১৯৯৪ সালের ৯ এপ্রিল হাইকোর্ট বিভাগ এবং ২০০২ সালের ১৫ মে আপিল বিভাগে আইনজীবী নিযুক্ত হন। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ৮ আগস্ট তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০৬ সালের ২৩ আগস্ট একই বিভাগের স্থায়ী বিচারক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গৃহযুদ্ধের ষড়যন্ত্র / শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা

চট্টগ্রামে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের দায়ে ৩ বাস কাউন্টারকে জরিমানা

চাঁদাবাজি ও দখলদারির অভিযোগে জবি ছাত্রদলের তিন নেতাকে শোকজ

বার্সার মধ্যে নিজেকেই সবচেয়ে প্রতিভাবান ভাবেন ইয়ামাল!

তারেক রহমানের নামে ভুল ছবি প্রচার, যা জানা গেল

রিপাবলিকান অ্যালায়েন্সের ইফতার অনুষ্ঠিত

বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল ট্র্যাফিক পুলিশ কর্মকর্তার

ভিজিএফের চাল না পাওয়ায় জেলেদের বিক্ষোভ

লোহিত সাগরে পর্যটকবাহী সাবমেরিন বিস্ফোরণ, নিহত ৬

আবারও ব্রাজিলের স্বপ্নে আনচেলত্তি

১০

নামাজ আদায় করে পুরস্কার পেল ৩৪ শিশু

১১

আ.লীগ ও তার দোসরদের সুযোগ দেওয়া যাবে না : আজাদ

১২

পাঁচটি সংস্কার কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়ল

১৩

তিন যুগ ধরে ইফতার করাচ্ছেন তুলা দোকানি মিন্টু

১৪

সেনা সদস্য অপহরণ / বরিশাল বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের ১১ নেতার পদ স্থগিত

১৫

বাড়িতে ইফতার করা হলো না প্রবাসফেরত আরিফের

১৬

বিড়ালের অভিশাপেই কি ব্রাজিলের এই দূর্দশা?

১৭

চট্টগ্রামে খালে মিলল ২ মর্টার শেল

১৮

ঢেকে দেওয়া হয়েছে লালমনিরহাটের মুক্তিযুদ্ধের স্মারক মঞ্চের ম্যুরাল

১৯

দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করুন : রিজভী

২০
X