ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আয়োজনে রাজধানীর উত্তর এলাকার মানুষের জন্য আগারগাঁওস্থ বাণিজ্য মেলার পুরাতন মাঠে অনুষ্ঠিত হবে ঈদ জামাত। সেখানে একসঙ্গে কয়েক লাখ মানুষ ঈদের নামাজে অংশ নিবেন। ঈদের নামাজ শেষে সুলতানি ও মোঘল আমলের রীতি অনুযায়ী থাকবে ঈদের আনন্দ মিছিল। এছাড়াও ফ্যাসিস্ট সরকার-পরবর্তী সময়ে ঈদ আনন্দকে নতুন ও সুন্দরভাবে আয়োজন করতে থাকবে ঈদ মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
রোববার (২৩ মার্চ) স্থানীয় সরকার, পল্লী, উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ঢাকায় নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে ঈদকে আমরা নতুনভাবে উদযাপন করতে চাই। যতদিন যাচ্ছে ঈদ আয়োজন সামষ্টিকতা থেকে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক আয়োজনে পরিণত হচ্ছে। ঈদের দিনে দেখা যায় আমাদের বর্তমান জেনারেশনের অনেকে টিভি দেখে বা ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিচ্ছি। এজন্য উত্তর সিটির উদ্যোগে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে কেন্দ্রীয়ভাবে ঈদ উৎযাপন করছি। গ্রামের ঈদগায়ের পাশে যেমন ছোট করে মেলা থাকে ঠিক তেমনি মেলার আয়োজন থাকবে সেখানে। শিশু-কিশোররা মেলায় অংশ নিতে পারবে। একইসঙ্গে পুরাতন ঐতিহ্য সুলতানি আমল ও আঠারো শতাব্দীর সময়ে ঈদের নামাজের পরে ঈদের মিছিল হতো, এই ঐতিহ্যটিকে আমরা আবার ফিরিয়ে আনতে চাচ্ছি। সবশেষ ঈদের দিন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও থাকবে। এই আয়োজনে উপদেষ্টা নগরবাসীকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, আসুন আমরা একসঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেই। ঈদের মিছিলে অংশগ্রহণ করি।
উপদেষ্টা বলেন, আমাদের ঐতিহ্যবাহী জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু এই ময়দানে মোহাম্মদপুর, মিরপুর ও উত্তর ঢাকার লোকজন আসতে পারে না। তাই উত্তর সিটির উদ্যোগে এই আয়োজন। সেখানে ঈদের আনন্দ মিছিল ও ঈদ মেলায় দক্ষিণ সিটির লোকজনও নামাজ শেষে অংশ নিতে পারবে। এ বছর সময় স্বল্পতার কারণে শুধু রাজধানী ছাড়া সারাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে আয়োজন করতে পারছি না। তবে আমাদের আহ্বান থাকবে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে কেউ যদি স্বতঃস্ফূর্তভাবে আয়োজন করতে চায় তবে সরকারের সব প্রতিষ্ঠান তাদের সহযোগিতা করবে। তবে আগামী বছর থেকে আরও বড় পরিসরে একটি জাতীয় প্রোগ্রামের মতো করে সারাদেশেই এটির আয়োজন করতে চাই।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, পুরাতন বাণিজ্য মেলায় সকাল ৮টায় একটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। মাঠটি যেহেতু অনেক বড় তাই একসঙ্গে কয়েক লাখ মানুষ সেখানে ঈদের নামাজে অংশ নিতে পারবেন। ঈদের মাঠে মহিলাদের নামাজ আদায়ের জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকবে। আর ঈদের আনন্দ মিছিলকে ঐতিহ্যবাহী করতে সেখানে হাতি, ঘোড়ার সঙ্গে ব্যান্ড পার্টির অংশগ্রহণ থাকবে।
মন্তব্য করুন