প্রতি বছর ঈদুল ফিতরের উৎসব ঘিরে কমলাপুর রেলস্টেশনে যাত্রীদের প্রচণ্ড ভিড় দেখা যায়। হাজার মানুষের ঢল নামে রেলস্টেশনে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে স্টেশনের অবকাঠামো সবকিছুতে চাপ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। এমন প্রেক্ষাপটে ট্রেনের নির্ধারিত সময় বজায় রাখা এবং শিডিউল বিপর্যয় রোধে ঢাকাগামী ৯ ট্রেনের বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে বিরতি বাতিল করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
যাত্রীদের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে বাংলাদেশ রেলওয়ের নেওয়া কর্মপরিকল্পনা থেকে এ তথ্য জানা যায়।
কর্মপরিকল্পনায় বলা হয়, ঈদযাত্রা শুরুর দিন ২৪ মার্চ থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ঢাকাগামী একতা, দ্রুতযান, পঞ্চগড়, নীলসাগর, কুড়িগ্রাম, লালমনি, রংপুর, চিলাহাটি ও বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনগুলোর ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে যাত্রাবিরতি থাকবে না। অন্যদিকে সুন্দরবন, মধুমতি, বেনাপোল, জাহানাবাদ, রূপসীবাংলা এক্সপ্রেস ও নকশীকাঁথা কমিউটার ট্রেন ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের শহরতলী প্ল্যাটফর্ম থেকে যাত্রা শুরু করবে।
ঢাকা, বিমানবন্দর, জয়দেবপুর, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেট, রাজশাহী, খুলনাসহ সব বড় বড় স্টেশনে জিআরপি, আরএনবি, বিজিবি ও স্থানীয় পুলিশ এবং র্যাবের সহযোগিতায় টিকিটবিহীন যাত্রী স্টেশনে প্রবেশের প্রতিরোধে সার্বক্ষণিক প্রহরার ব্যবস্থা করা হবে।
নাশকতা প্রতিরোধে চলন্ত ট্রেনে, স্টেশনে বা রেললাইনে আরএনবি, জিআরপি ও রেলওয়ে কর্মচারীদের কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে। এ ছাড়া র্যাব, বিজিবি, স্থানীয় পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্রিয় সহযোগিতায় নাশকতাকারীদের কঠোরভাবে দমন করা হবে।
টিকিটধারী যাত্রীদের ভ্রমণের সুবিধার্থে ঈদের আগে ২৬ মার্চ থেকে জয়দেবপুর স্টেশন থেকে ঢাকামুখী এবং ঢাকা স্টেশন থেকে জয়দেবপুরমুখী আন্তঃজোনাল আন্তঃনগর ট্রেনে কোনো টিকিট ইস্যু করা হবে না। বিমানবন্দর স্টেশন থেকে ঢাকাগামী এবং ঢাকা স্টেশন থেকে বিমানবন্দরগামী আন্তঃনগর ট্রেনে কোনো টিকিট ইস্যু করা হবে না।
এ ছাড়া ঈদের ১০ দিন আগে এবং ঈদের পরে ১০ দিন পর্যন্ত ট্রেনে সেলুনকার সংযোজন করা হবে না।
মন্তব্য করুন