সংস্কার নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টির লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
শনিবার (২২ মার্চ) সকালে খেলাফত মজলিসের সঙ্গে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে আলোচনার সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য দলসমূহের সঙ্গেও আলোচনার সময়সূচি ঘোষণা করা হবে।
জানা গেছে, সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ ১৬৬টি সুপারিশের বিষয়ে মতামত চেয়ে ৬ মার্চ ৩৭টি রাজনৈতিক দলকে চিঠি ও ‘স্প্রেডশিট’ পাঠিয়েছিল ঐকমত্য কমিশন। ১৩ মার্চের মধ্যে তাদের মতামত জানাতে অনুরোধ করা হয়েছিল। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) পর্যন্ত মোট ১৫টি দল তাদের মতামত জানিয়েছে।
কমিশন আগেই জানিয়েছিল রাজনৈতিক দলগুলোর প্রাথমিক মতামত পাওয়ার পর দলগুলোর সঙ্গে আলাদা আলাদা আলোচনা করা হবে। যারা ইতিমধ্যে মতামত দিয়েছেন, তাদের নিয়ে আলোচনা শুরু হবে। এরপর যারা মতামত দেবেন, ক্রমান্বয়ে তাদের আলোচনায় আমন্ত্রণ জানানো হবে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের অন্যতম লক্ষ্য দেশের বিভিন্ন খাতে সংস্কার আনা। এ লক্ষ্যে সংস্কার প্রস্তাব তৈরির জন্য গত বছরের অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, পুলিশ, দুর্নীতি দমন কমিশন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন গঠন করে সরকার।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে এই ছয়টি কমিশন তাদের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এসব কমিশনের প্রধানদের নিয়ে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করে সরকার।
মন্তব্য করুন