পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, তুলা আমদানির জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
সোমবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম, ইআরএফ’র কার্যালয়ে এক সেমিনারে তিনি একথা বলেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়ানো হচ্ছে, যাতে তাদের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি কমে আসে। আরেকটা দিক হচ্ছে, তারা বিভিন্ন দেশের ওপর নতুন করে শুল্ক বসাচ্ছে। বাংলাদেশের ওপর বাড়তি শুল্ক আরোপ করে আমাদের বিরুদ্ধে সহজে যেন যেতে না পারে, সেজন্য।’
তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশের ওপর শুল্কারোপ করছে। বাংলাদেশ অবশ্য আগে থেকেই শুল্ক দিয়ে রপ্তানি করছে। যদিও বাংলাদেশের ওপর এখনও বাড়তি শুল্ক আরোপ করেনি, তবু একটা সংশয় থেকেই যায়। এ পরিস্থিতিতে আমরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানি করে তৈরি পোশাক রপ্তানি করব, যাতে বাড়তি শুল্ক আরোপ করতে তারা দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভোগে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তুলা আমদানির ওপর রপ্তানি নির্ভর করছে। এজন্য আমদানি যেন সহজ হয়, স্থানীয়ভাবে উৎপাদনও যেন বাড়ে। আমরা উৎপাদনে একশ পার্সেন্টে যেতে পারব না, আমাদের এত জমি নেই। যদি দুই শতাংশ থেকে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ হয়, তাহলেও আমাদের জন্য বড়সর অ্যাচিভমেন্ট হবে।’
যেসব জমিতে তুলনামূলক কম মূল্যমানের অর্থকরী ফসল উৎপাদন হচ্ছে, সেখানে তুলা চাষ জনপ্রিয় হতে পারে বলে মনে করেন উপদেষ্টা।
কৃষি পণ্য হিসবে তুলা প্রণোদনা পাওয়ার যোগ্য মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, ‘সারা পৃথিবীতে তুলায় সাবসিডি দেওয়া হয়। দেশে তুলা আমদানিতে কোনো শুল্ক নেই। কিন্তু স্থানীয় পর্যায়ে তুলা উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে আগাম কর নেওয়া হয়।’
এসময় স্থানীয় তুলা উৎপাদনকারীদের ৪ শতাংশ আগাম কর দিতে হয়। এই আগাম কর তুলে নিতে এনবিআর কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
মন্তব্য করুন