কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৬:৫৩ পিএম
আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৭:০৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আমরা বলছি ডিসেম্বরে নির্বাচন, এর মধ্যেই সংস্কার করতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি : সংগৃহীত
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি : সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাতে খুব বেশি সময় নেই। আমরা ইতোমধ্যে সাত মাস পার করে এসেছি। আমরা বলছি, ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে। কাজেই কী কী সংস্কার করতে চাই করে ফেলতে হবে।

সোমবার (১৭ মার্চ) মাঠপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন তিনি।

পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আপনারাও সংস্কারের কথা বলেছেন। কারও জন্য অপেক্ষা করে কোনো ফায়দা হবে না। কাজটা করতে হবে এবং সেটা আমাদের প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

ড. ইউনূস বলেন, দেশ বদলাতে হলে একক নির্দেশে নয়, বরং সবাইকে নিয়ে এক একটি টিম হয়ে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশে যত টিম আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টিম হলো পুলিশ। সরকার যা কিছুই করতে চায়, শেষ পর্যন্ত পুলিশের হাত দিয়েই করতে হয়। তারা সব করে দেয় না, তারা পরিবশেটা সৃষ্টি করে। যে পরিবেশটা না থাকলে কোনো কাজই আর হয় না।

তিনি বলেন, পুলিশের কথা প্রসঙ্গে বারবার আমরা দুটো শব্দ বলছি- আইনশৃঙ্খলা। পুলিশের হাতেই এটাকে এক্সিকিউট করতে হবে। এই পরিবেশ সৃষ্টি করা না গেলে সরকার, গণতান্ত্রিক অধিকার, মানুষের অধিকার, নাগরিকের অধিকার- কিছুই থাকে না। আমরা পুলিশকে অবহেলা করে দেশ গড়তে পারব না। তারাই সম্মুখসারির মানুষ। তারা ক্ষেত্র প্রস্তুত করলেই বাকি জিনিসগুলো হয়। আইনশৃঙ্খলা না থাকলে যত বড় বড় চিন্তাই হোক, যত টাকাই থাকুক, কোনো কাজে আসবে না।

জুলাই আন্দোলনেরে কথা উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, এই গণঅভ্যুত্থানের ফলে আমরা মস্ত বড় সুযোগ পেয়েছি। এটাকে যেন হারিয়ে না ফেলি। আমরাও সেটা চেষ্টা করব, ভবিষ্যতে যারা আসবে তারাও আশা করি চেষ্টা করবে। পথটা যেন আমরা সৃষ্টি করে দেই। এই পথ সৃষ্টির ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনী একটা মস্ত বড় ভূমিকা পালন করতে পারে।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশে পুলিশ বাহিনীর মুশকিল হলো, ওই অন্ধকার যুগে তারা একটিভ পার্টিসিপেন্ট ছিল- নিজের ইচ্ছায় না, সরকারি কাজ করতে গিয়ে হয়েছে। কাজেই নতুন বাংলাদেশে পুলিশকে দেখিয়ে দিতে হবে- আমরা মানুষ খারাপ না, খারাপ মানুষের পাল্লায় পড়েছিলাম, সেখান থেকে বের হয়ে এসেছি। দেখো আমরা কী করতে পারি। কাজের মাধ্যমে আমরা দেখাব যে, আমাদের হাত দিয়েই এই নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টি হবে। আমরা বড় রকম ভূমিকা পালন করব। কারণ আমাদের কাছেই রয়েছে আইনশৃঙ্খলা- এটা প্রতিষ্ঠা করব।

ড. ইউনূস আরও বলেন, পুলিশ হবে বন্ধু। কারণ, আমি আইনের পক্ষের মানুষ। আমি আইন প্রতিষ্ঠা করার মানুষ। আইন হলো আমাদের সবার আশ্রয়। পুলিশ হলো আশ্রয়দাতা। আমরা এই ইমেজটা যদি প্রতিষ্ঠিত করতে পারি, মানুষ অতীতের সব কথা ভুলে যাবে।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, স্বরাষ্ট্রসচিব নাসিমুল গনি ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। এ ছাড়া মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহসান হাবিব পলাশ ও রাজশাহী পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এ বছর একালের তীব্র জলজটের আশঙ্কা করছি : ডিএনসিসি প্রশাসক

আবারও গুজরাট দাঙ্গার দায় অস্বীকার করলেন মোদি

কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক কারাগারে

৮০ দিন ধরে বন্ধ লোকাল ট্রেন, দুর্ভোগ চরমে

সার্বজনীন ঐক্য চায় জামায়াত : ডা. তাহের

সন্তানকে জিম্মি করে মাকে ধর্ষণচেষ্টা, কিশোর গ্রেপ্তার

ভবিষ্যৎ রাজনীতি, সমৃদ্ধি ও সম্প্রীতি কোন পথে?

সীমান্তে বিজিবির বাধায় ফিরে গেল বিএসএফ

বিয়ে করলেন সমন্বয়ক রাফি, জানা গেল স্ত্রীর পরিচয়

এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ

১০

ঘুষ-দুর্নীতি বেড়েছে, তাহলে কীসের সংস্কার হচ্ছে : মুরাদ

১১

জুতা ছিল না, খালি পায়ে স্কুলে যেতাম : নরেন্দ্র মোদি

১২

কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল, দুর্ভোগে যাত্রীরা

১৩

নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ঢাবিতে মানববন্ধন

১৪

ফ্যাসিবাদের পতন হলেও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়নি : নজরুল ইসলাম খান

১৫

জনগণ মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার আগেই নির্বাচন দিন : দুলু

১৬

রূপগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে কুপিয়ে জখম

১৭

বাংলাদেশের মানুষ ছাত্রদের বিশ্বাস করে : বিন ইয়ামিন মোল্লা

১৮

আগামীকাল উদ্বোধন হচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ যমুনা রেল সেতু

১৯

শিগগিরই দুটি ডিএনএ ল্যাব স্থাপন করা হবে : রিজওয়ানা হাসান

২০
X