দেশের সব বিমানবন্দরে চালু হতে পারে কৃত্রিম উপগ্রহভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান স্টারলিংকের কার্যক্রম।
রোববার (১৬ মার্চ) দুপুর ১২টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সৌজন্য সাক্ষাতে আসেন স্পেসএক্সের ‘গ্লোবাল এনগেজমেন্ট অ্যাডভাইজার’ রিচার্ড এইচ গ্রিফিতস।
এ সময় স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবার সম্ভাবনা নিয়ে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়ার সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
এরপর এক বিজ্ঞপ্তিতে বেবিচক কর্তৃপক্ষ জানায়, স্পেসএক্সের সঙ্গে বৈঠকে বিমানবন্দরগুলোতে স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা চালুর সম্ভাবনা, যাত্রীসেবার মানোন্নয়ন ও ভবিষ্যতে পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ সময় বেবিচক চেয়ারম্যান বাংলাদেশে আগমনের জন্য স্পেসএক্স প্রতিনিধিকে ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে এ বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার আশা করেন।
এর আগে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা স্পেসএক্স, টেসলা এবং এক্স প্ল্যাটফর্মের মালিক ইলন মাস্কের সঙ্গে টেলিফোনে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এই আলোচনায় ভবিষ্যতে সহযোগিতা এবং বাংলাদেশে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করার বিষয়ে আরও অগ্রগতি নিয়ে কথা হয়।
বাংলাদেশে স্পেসএক্সের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা ‘স্টারলিংক’ চালু হলে প্রযুক্তি, অর্থনীতি, ই-লার্নিং, শিল্পখাত এবং নারীর ক্ষমতায়নে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে, দুর্যোগকালীন সময়ে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ষ্টারলিংক ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। এ ছাড়া বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়ার ফলে ইন্টারনেট সেবার দামও কমতে পারে।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি স্পেসএক্স মালিক ইলন মাস্কের সঙ্গে এক ভিডিও আলোচনায় বাংলাদেশে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা চালুর বিষয়ে কথা বলেন।
সেই সময় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এসডিজির প্রধান সমন্বয়কারী লামিয়া মোর্শেদ এবং স্পেস এক্সের পক্ষ থেকে ভাইস প্রেসিডেন্ট লরেন ড্রেয়ার এবং গ্লোবাল এনগেজমেন্ট অ্যাডভাইজার রিচার্ড গ্রিফিথস উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন