মেক্সিকোয় নিয়োজিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেছেন, ‘১৫ বছরে নিজস্ব স্বকীয়তা ও স্বাতন্ত্র্যবোধ বলে কিছু আর অবশিষ্ট নেই। ছিল না কোনো ব্যক্তিত্ব কিংবা পেশাদারত্ব।’
তিনি বলেন, ‘হাসিনার দীক্ষা এমন ছিল, সবাইকে ইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায় কেবল হায় মুজিব, হায় হাসিনা করতে হতো। আমার মিশনে যেখানে হাত দিই, কেবল মুজিব, হাসিনা আর নৌকার ছড়াছড়ি।’
দূতাবাসের সামগ্রী নিয়ে আনসারী বলেন, ‘বিদেশিদের উপহার দেওয়ার সামগ্রী যেমন কলম, কলমদানি, মগ, নোটবুক, চাবির রিং, ব্যাগ, পেপার ওয়েটসহ সবকিছুতেই কেবল সেই মুখমণ্ডল। আমার ধারণা, পৃথিবীর এমন কোনো ভাষা নেই, যে ভাষায় বাপ-বেটির বই অনূদিত হয়নি! আমাদের এক কক্ষে স্প্যানিশ ভাষায় অনূদিত বইয়ে ঠাসা, অসংখ্য বক্স। সের দরে কেউ কিনলে বেচে দিয়ে টাকাটা সরকারের ট্রেজারিতে অন্তত দিতে পারতাম। আর সেই ঐতিহাসিক মূর্তি, আমি আসার আগেই সরিয়ে ফেলা হয়েছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার গোলাম মোর্তজার সোশ্যাল মিডিয়ার এক পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় শনিবার মুশফিকুল ফজল আনসারী এসব কথা বলেন।
সাংবাদিক গোলাম মোর্তজা বলেন, ‘গতকালের পোস্টের পর মরক্কোয় বাংলাদেশ দূতাবাসের হোমপেজের ছবি বাদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো এমন অনেক কিছু রয়ে গেছে। মরক্কো দূতাবাসে যা ঘটল, এমন ঘটতে পারে আরও অনেকগুলো দেশে, বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোতে। কারণ সব জায়গায় এখনো ফ্যাসিস্ট সমর্থক দিয়ে ভর্তি দূতাবাস।’
এই পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় মুশফিকুল ফজল বলেন, ‘শুধু কী মরক্কো? পাবলিক ডমেইনে আর বলতে চাই না। তবে আপাতত ম্যাক্সিকোর সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যানারে দ্রোহের প্রতিচ্ছবি দেখে কিছুটা স্বস্তি পেতে পারেন।’
মন্তব্য করুন