কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ মার্চ ২০২৫, ১১:৪১ এএম
আপডেট : ১৩ মার্চ ২০২৫, ০১:৩৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মাগুরার শিশুটির আরও দু’বার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট

সিএমএইচ। ছবি : সংগৃহীত
সিএমএইচ। ছবি : সংগৃহীত

মাগুরায় শিশুটির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। আজ (বৃহস্পতিবার) আরও দু’বার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রেস উইং থেকে আরও জানানো হয়, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের দ্বিতীয় বার প্রায় ৩০ মিনিট সিপিআর দেওয়ার পর রিভার্স করেছে। ব্রেন ফাংশন করছে না। জিসিএস (কোমা) লেভেল ৩। রক্ত চাপ ও অক্সিজেন লেভেল অনেক কম।

বুধবার (১২ মার্চ) সকালে, চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, শিশুটির শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। এদিনও তার দুবার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ (আকর্ষিকভাবে হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যাওয়া) হয়েছিল।

শিশুটির চিকিৎসায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের এক সদস্য জানান, তার (শিশুটি) অবস্থা আরও জটিল হয়েছে। সে এখন জটিল পরিস্থিতির সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে।

তিনি জানিয়েছিলেন, বুধবার (১২ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে প্রথমবার তার হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়। চিকিৎসায় তার হৃৎস্পন্দন ফিরে আসে। পরে দ্বিতীয়বার তার হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়। সেবারও চিকিৎসায় তা ফিরে আসে। তার মস্তিষ্ক প্রতিক্রিয়াহীন অবস্থায় আছে। তার গ্লাসগো কোমা স্কেল (জিসিএস) ৩। মস্তিষ্কের আঘাতের কারণে কোনো ব্যক্তির চেতনার মাত্রা হলো জিসিএস। মানুষের স্বাভাবিক মাত্রা হলো ১৫। জিসিএস ৩ অবস্থাকে মস্তিষ্কের প্রতিক্রিয়াহীন অবস্থা বলে বিবেচনা করা হয়।

মেডিকেল বোর্ডের ওই চিকিৎসক আরও জানান, ঘটনার সময় শিশুটিকে যখন ফাঁস দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়, তখন তার মস্তিষ্কে অক্সিজেনের ঘাটতি হয়। পরদিন বেলা ১১টায় হাসপাতালে নেওয়ার আগ পর্যন্ত এই অবস্থায় তাকে ফেলে রাখা হয়েছিল। এ কারণে দীর্ঘ সময় অক্সিজেন না পেয়ে মস্তিষ্কের বড় ক্ষতি হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে অক্সিজেন দিলে মস্তিষ্কের এত ক্ষতি হতো না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (০৬ মার্চ) বোনের শ্বশুরবাড়ি মাগুরা শহরের নান্দুয়ালী এলাকায় বেড়াতে গিয়ে বোনের শ্বশুর হিটু শেখ (৫০)-এর লালসার শিকার হয় শিশুটি। ওইদিন বেলা ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান তার বোনের শাশুড়ি। পরে শিশুটির মা হাসপাতালে যান। ওই দিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। শুক্রবার (০৭ মার্চ) রাতে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। তারপর তাকে নেওয়া হয় সিএমএইচে।

এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার শিশুটির দুলাভাই ও দুলাভাইয়ের বাবাসহ চারজনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। রোববার (০৯ মার্চ) রাত ১২টার দিকে মাগুরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল মতিনের আদালতে শুনানি শুরু হয়। পুলিশ আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত এক নম্বর আসামি হিটু শেখকে ৭ দিন এবং সজীব হোসেন, রাতুল শেখ ও জাবেদা বেগমের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিএনপিকর্মী হত্যা মামলার আসামি হলেন সাবেক মেয়র মিজান

জবিতে মাহে রমজানের শিক্ষাবিষয়ক সেমিনার

স্ত্রীসহ মায়ার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে সহযোগিতায় আগ্রহী নেদারল্যান্ডস : রাষ্ট্রদূত

জবিতে ধর্ষণ বিরোধী বিতর্ক প্রদর্শনী 

টাইগারদের নির্ভরযোগ্য সৈনিককে হারানোর বেদনায় বিসিবি

দুদকের অভিযান আমাদের জন্য সম্মানজনক নয় : বিভাগীয় কমিশনার

কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য ‘এআই’ একটি আশীর্বাদ

জেমকন গ্রুপের ৩৬ কোম্পানির ৪ কোটি শেয়ার ফ্রিজ

সাবেক ভূমিমন্ত্রীর মেয়ে আ.লীগ নেত্রী পিয়া গ্রেপ্তার

১০

ঝলসে যাচ্ছে বোরোর সবুজ পাতা

১১

ধর্ষণ মামলায় খালাস পেলেন উপসচিব রেজাউল করিম

১২

গোয়াল ঘরের পাশে ছিল বিশালাকৃতির কুমির

১৩

স্বামীর অবসরে আবেগঘন বার্তা দিলেন মাহমুদউল্লাহর স্ত্রী

১৪

‘পুরো বাংলাদেশ বোন আছিয়ার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী, লজ্জিত’

১৫

‘ধর্ষণ ও নির্যাতনকারীদের জনসম্মুখে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে’

১৬

ফারহান-কেয়াকে নিয়ে প্রেমের ‘বাজি’

১৭

পাকিস্তানের সঙ্গে ব্যবসা বাড়াতে চায় বাংলাদেশ

১৮

সোহেলের ধারাবাহিকে মোশাররফ করিম 

১৯

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ / এখন কাউকেই সহজে বিশ্বাস করা যায় না : সাদিয়া আয়মান

২০
X