নতুন দলের নিবন্ধনে গণবিজ্ঞপ্তিসহ বেশি কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির দাবি, আগামী ডিসেম্বরে নির্বাচন করতে হলে জুন-জুলাইয়ে সব কাজ শেষ করতে হবে।
তবে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ‘সংস্কারপ্রক্রিয়ার মধ্যে এসব উদ্যোগ কাম্য নয়। কারণ এটার একটা সংস্কার প্রক্রিয়া চলছে। এটি নিয়ে তাদের সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করা দরকার ছিল বলে মনে করি।’
বুধবার (১২ মার্চ) রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান।
বদিউল আলম বলেন, ‘সরকারের সঙ্গে আলোচনা না করে, সংস্কার নিয়ে ঐকমত্য হওয়ার আগেই নির্বাচন কমিশনের রাজনৈতিক দল নিবন্ধনসহ নানা উদ্যোগ সাংঘর্ষিক।’
এক প্রশ্নের জবাবে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘এটি নিয়ে মানুষের মধ্যে একটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে। একটু অপেক্ষা করলে আমার মনে হয় ভালোই হতো।’
তবে ইসি বলছে, সরকার আভাস না দিলেও ডিসেম্বরে নির্বাচন ধরে কাজ এগিয়ে রাখছে কমিশন।
নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘এই ব্যাপারটাতে সরকার বা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে আমাদের কোনো যোগাযোগ নেই। আমরা মনে করি সরকারও প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং নির্বাচন কমিশনও নির্বাচন কমিশনের মতো তাদের কাজগুলো এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
ইসিকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘বেশিদূর যাওয়ার আগে তারা (নির্বাচন কমিশন) যেন সরকারের সঙ্গে আলাপ করে। এরপর এ ব্যাপারে সরকারের মতামত নিয়ে যেন তারা অগ্রসর হয়।’
এদিকে এনআইডি কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের অধীন রাখতে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সারা দেশে নির্বাচন অফিসের সামনে মানববন্ধন করবেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এ বিষয়ে আন্দোলনরত কর্মকর্তারা নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় নির্বাচন কমিশনের সিস্টেম ম্যানেজার এনআইডি কার্যক্রমের সমস্যা তুলে ধরেন।
মন্তব্য করুন