কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২৫, ০২:১৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

এখনই সেবায় ফিরে যাব না, রায়ের প্রতিক্রিয়ায় চিকিৎসকরা

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থানরত চিকিৎসকরা। ছবি : কালবেলা
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থানরত চিকিৎসকরা। ছবি : কালবেলা

এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া কেউ নামের আগে ডাক্তার পদবি লিখতে পারবে না বলে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে পাঁচ দফার সব দফা মেনে না নেওয়া পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবায় ফিরে না যাওয়ার কথা জানিয়েছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, চিকিৎসকদের প্রতিটি দাবিই যৌক্তিক এবং বাস্তবসম্মত। তারা এখন ডাক্তার না লিখলেও স্বাধীনভাবে আগের মতোই প্রাইভেট প্র্যাকটিস করে যাবে, এটি আমরা মেনে নেব না।

বুধবার (১২ মার্চ) দুপুরে হাইকোর্টের রায়-পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থানরত চিকিৎসকরা এ কথা বলেন।

ডা. হাবিবুর রহমান সোহাগ বলেন, আমাদের ৫ দফার এক দফা পূরণ হয়েছে। ৫ দফা আদায় করতেই হবে। আপনারা কেউ চলে যাবেন না। আমরা এখান থেকে বাকি চার দফার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অভিমুখে যাত্রা শুরু করব। আমাদের বাকি দফাগুলোর সমাধান না হলে আমরা ঘরে ফিরে যাব না।

এদিন রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বেলা ১১টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হতে থাকেন চিকিৎসকরা। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এ কর্মসূচিতে চিকিৎসক এবং মেডিকেল শিক্ষার্থীরা যোগ দেন।

চিকিৎসকদের পাঁচ দফা দাবি হলো :

১. এমবিবিএস/বিডিএস ব্যতীত কেউ চিকিৎসক লিখতে পারবেন না। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) বিরুদ্ধে করা রিট ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে। বিএমডিসি নিবন্ধন শুধু এমবিবিএস/বিডিএস ডিগ্রিধারীদের দিতে হবে। ২০১০ সাল থেকে হাসিনা সরকার ম্যাটসদের (মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল) বিএমডিসি থেকে নিবন্ধন দেওয়া শুরু করেছে। এ ম্যাটসদের বিএমডিসি থেকে নিবন্ধন দেওয়া অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।

২. উন্নত বিশ্বের চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ওভার দ্য কাউন্টার বা ওটিসি ড্রাগ লিস্ট আপডেট করতে হবে। এমবিবিএস বা বিডিএস ছাড়া অন্য কেউ ওটিসি লিস্টের বাইরের ওষুধ প্রেসক্রাইব করতে পারবে না। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসিগুলো ওটিসি লিস্টের বাইরের কোনো ওষুধ বিক্রি করতে পারবে না।

৩. স্বাস্থ্য খাতে চিকিৎসকের সংকট নিরসনে দ্রুত ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে সব শূন্যপদ পূরণ করতে হবে। আলাদা স্বাস্থ্য কমিশন গঠন করে আগের মতো সপ্তম গ্রেডে নিয়োগ দিতে হবে। প্রতি বছর চার থেকে পাঁচ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে স্বাস্থ্য খাতের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। চিকিৎসকদের বিসিএসে বয়সসীমা ৩৪ বছর করতে হবে।

৪. সব মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট স্কুল (ম্যাটস) ও মানহীন সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো বন্ধ করতে হবে। এরই মধ্যে পাস করা ম্যাটস শিক্ষার্থীদের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো) পদবি রহিত করে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।

৫. চিকিৎসকদের কর্মস্থলের নিরাপত্তায় চিকিৎসক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও দ্রুত বাস্তবায়ন করা। এক্ষেত্রে দ্রষ্টব্য যে, ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগে অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষাপটে ডাক্তার সমাজের প্রতিবাদের মুখে ৭ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, যা আজ ৭ মাস পেরিয়েও কোনো আলোর মুখ দেখেনি। চিকিৎসক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা পাবেন হজযাত্রীরা

লামিয়ার ধর্ষণকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি গণতন্ত্রী পার্টির

গাজীপুরে মাটি কাটার দায়ে ১০ জন কারাগারে

প্রেমিকা অন্তঃসত্ত্বার খবর শুনে পালালেন শিমুল

সোহরাওয়ার্দী কলেজে অনুষ্ঠিত হলো ক্যারিয়ার বুস্টিং প্রোগ্রাম 

যুবদল নেতা শামীম হত্যা / সাবেক এমপি জাফর কারাগারে

আদালত পাড়ায় আনিসুল হককে আইনজীবীদের চড়-থাপ্পড়

যুদ্ধ নিয়ে বড় ঘোষণা পুতিনের

‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ গঠন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

১০

‘জনগণের নেতৃত্বাধীন জলবায়ু অভিযোজন পরিকল্পনা’ বিষয়ক জাতীয় কর্মশালা

১১

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিষপানে গৃহবধূর আত্মহত্যা

১২

হজযাত্রীদের সেবায় ‘লাব্বায়েক’ অ্যাপের উদ্বোধন

১৩

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ফাইফারে ওয়াসিম আকরামকে ছাড়ালেন তাইজুল

১৪

পুকুরে নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ চাষ, অতঃপর...

১৫

বিয়ের ১৫ দিনের মাথায় লাশ হলেন হাসান

১৬

৬ জেলায় বজ্রপাতে প্রাণ গেল ১১ জনের

১৭

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০

১৮

বাংলাদেশ এভিয়েশনে পরিকল্পনা আর বাস্তবায়নে অনন্য ইউএস-বাংলা

১৯

জামিনসহ আটকাদেশ বাতিল, মেঘনার কারামুক্তিতে আর বাধা নেই 

২০
X