কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১০ মার্চ ২০২৫, ০৪:৫২ পিএম
আপডেট : ১০ মার্চ ২০২৫, ০৫:২৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
ভূমিকম্পের আভাস

ঢাকায় তাৎক্ষণিক ২ লাখ মানুষের প্রাণহানির শঙ্কা

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সম্প্রতি দুই সপ্তাহের মধ্যে দেশে কয়েক দফা ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এসব ছোট ছোট ভূমিকম্প বড় ভূমিকম্পের আভাস দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখানে ৮.২ থেকে ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প হওয়ার শক্তি সঞ্চিত হয়ে আছে। এই মাত্রার ভূমিকম্প হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ঢাকা নগরী। অপরিকল্পিত নগরী হওয়ায় এখানকার ১ শতাংশ বিল্ডিংও যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে দুই লাখ লোকের প্রাণহানি ঘটবে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।

দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় সম্প্রতি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়েছে, ভূতাত্ত্বিক দিক থেকে বাংলাদেশ ৩টি প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত। ফলে প্রবল ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা না হলেও ভূমিকম্পের ভয়াবহ ঝুঁকিতে আছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি দুই সপ্তাহের মধ্যে দেশে কয়েক দফা ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। এসব ছোট ছোট ভূমিকম্প বড় ভূমিকম্পের আভাস দিচ্ছে।

কলম্বো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়, এ অঞ্চলে ভূগর্ভে দুটি প্লেট ধাবিত হচ্ছে। ইন্ডিয়া প্লেট পূর্বদিকে যাচ্ছে। বার্মা প্লেট পশ্চিমের দিকে আসছে। বার্মা প্লেটের নিচে ইন্ডিয়া প্লেট তলিয়ে যাচ্ছে। এটিকে বলে ‘সাবডাকশন জোন’।

জানা গেছে, প্রতি বছর ১ মিটার থেকে দেড় মিটার সংকোচন হচ্ছে। সে হিসাবে এখানে ৮.২ থেকে ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প হওয়ার শক্তি সঞ্চিত হয়ে আছে। যে কোনো সময় এ ভূমিকম্প হতে পারে।

ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার গণমাধ্যমকে বলেন, এই মাত্রার ভূমিকম্প হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ঢাকা নগরী। অপরিকল্পিত শহর এবং বিল্ডিং কোড মেনে অনেক স্থাপনা নির্মাণ না হওয়ায় এখানকার ১ শতাংশ বিল্ডিংও যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে দুই লাখ লোকের প্রাণহানি ঘটবে। ৫-৭ লাখ মানুষ বিভিন্ন বিল্ডিংয়ে আটকা পড়বে। পরে সময়ে খাদ্যাভাব, অগ্নিকাণ্ডসহ নানা কারণে তাদেরও একটি বড় অংশের মারা যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএম) নিতাই চন্দ্র দে সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, যে কোনো সময় বড় ধরনের ভূমিকম্প হতে পারে-বিষয়টি অনেক আগে থেকেই বলা হয়েছে। আমরা সে বিবেচনায় রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট, তাৎক্ষণিকভাবে কী করা উচিত-সেসব বিষয়ে পরিকল্পনা করেছি। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ রংপুর, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, নারায়ণগঞ্জের জন্য রিস্ক অ্যাসেসেমন্ট করা হয়েছে।

কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূমিকম্প মোকাবিলায় প্রস্তুতি অত্যাবশ্যক। এ জায়গায় এখনো ঘাটতি আছে। প্রস্তুতির চেয়ে ভূমিকম্প-পরবর্তী উদ্ধারে করণীয় এবং বিভিন্ন কেনাকাটায় মনোযোগ বেশি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় রমজানের শিক্ষাকে কাজে লাগাতে হবে’

আপনার ছেলেকে পুলিশে ধরবে না, ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে টাকা নেন ওবায়দুল

রাঙামাটিতে ২০০ যাত্রী নিয়ে ডুবে গেল লঞ্চ, অতঃপর...

মাঝ সমুদ্রে দুই জাহাজের সংঘর্ষ, ভয়াবহ বিপর্যয়ের শঙ্কা

কাফির বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার ছাত্রলীগের দুই কর্মী

জামিন নিয়ে পদত্যাগ করলেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম

ফাইনালের মঞ্চে পিসিবির অনুপস্থিতির ব্যাখ্যা দিল আইসিসি

ডাকাতির কবলে রাজশাহী জামায়াতের ১০ নেতা, সর্বস্ব লুট

ফাইভ-জি গতিতে তারাবি না পড়ার আহ্বান আজহারির

ঈদে বাজারে আসছে না নতুন নোট 

১০

কেম্যান দ্বীপপুঞ্জ ও পাঁচ দেশে হাসিনার পরিবারের সম্পদের খোঁজ

১১

হাতের ইশারাতেই কোরআন শিখছে শিশুরা

১২

নারায়ণগঞ্জে ১৭ লাখ টাকার গার্মেন্টস পণ্য ছিনতাই    

১৩

নতুন করে কী হচ্ছে সিরিয়ায়?

১৪

ইউআইইউ ‘ইনভেনশিয়াস ৪.১’ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন 

১৫

বগুড়ায় নির্যাতনে স্ত্রীর মৃত্যু, স্বামী আটক

১৬

‘শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পরোক্ষ ধূমপান কমাবে’

১৭

যানবাহন চলাচলে ডিএমপি’র নতুন নির্দেশনা

১৮

‘ধর্ষিতার আগে ধর্ষকের জানাজার ব্যবস্থা করতে হবে’

১৯

সরকার পতনের পরও থামেনি আমিরুলের মাদক ব্যবসা

২০
X