কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১০ মার্চ ২০২৫, ০২:০১ পিএম
আপডেট : ১০ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

শিগগিরই ‘জাতীয় সনদ’ তৈরি করতে চায় ঐকমত্য কমিশন

‘জাতীয় সনদ’ তৈরি করতে চায় ঐকমত্য কমিশন
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গ্রাফিক্স: কালবেলা

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্রুত আলোচনা শুরু করতে এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছে একটি ‘জাতীয় সনদ’ তৈরি করতে চায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

সোমবার (১০ মার্চ) জাতীয় সংসদ ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি ড. আলী রীয়াজ।

তিনি বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারে গঠন করা হয় ৬টি সংস্কার কমিশন। এসব কমিশনের ১৬৬টি সুপারিশ ও পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনসহ ৩৪টি রাজনৈতিক দলের কাছে চিঠি দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আগামী ১৩ মার্চের মধ্যে এসব সুপারিশের বিষয়ে রাজনৈতিক দল ও জোটেগুলোর মতামত জানাতে হবে। তারপর সংস্কার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু হবে। এরপর সবাই ঐকমত্যে পৌঁছে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা হবে।

আলী রীয়াজ বলেন,

যখন যে দলের মতামত পাওয়া যাবে, সে সময় থেকেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করা হবে। আশা করছি, আগামী ১৩ মার্চের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের মতামত জানাবে। এ ক্ষেত্রে কোনো প্রশ্ন থাকলে তারা কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে। কমিশন এ বিষয়ে সবসময় প্রস্তুত রয়েছে।

সংস্কার কমিশনের ১৬৬টি সুপারিশ রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানোর কথা জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, সুপারিশগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার সংক্রান্ত ৭০টি, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার সংক্রান্ত ২৭টি, জনপ্রশাসন সংক্রান্ত ২৬টি, বিচার বিভাগ সংক্রান্ত ২৩টি ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংক্রান্ত ২০টি সুপারিশ ৩৪টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়েছে। তবে পুলিশ সংস্কার কমিশন মনে করে, তাদের সুপারিশগুলো প্রশাসনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা সম্ভব।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এ সহসভাপতি আরও বলেন, প্রতিটি সুপারিশের ক্ষেত্রে আমরা দুইটি বিষয়ে মতামত চেয়েছি। প্রথমটি হলো সংশ্লিষ্ট সুপারিশের বিষয়ে একমত কি না। এতে তিনটি বিকল্প রাখা হয়েছে। সেগুলো হলো- ‘একমত’, ‘একমত নই’ এবং ‘আংশিকভাবে একমত’। এ তিনটি বিকল্পের যেকোনো একটিতে টিক চিহ্ন দিয়ে মতামত জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়া প্রতিটি সুপারিশের বিষয়ে সংস্কারের সময়কাল ও বাস্তবায়নের উপায়ের বিষয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই ক্ষেত্রে ছয়টি বিকল্প আছে। সেগুলো হলো ‘নির্বাচনের আগে অধ্যাদেশের মাধ্যমে’; ‘নির্বাচনের আগে গণভোটের মাধ্যমে’; ‘নির্বাচনের সময় গণভোটের মাধ্যমে’; ‘গণপরিষদের মাধ্যমে’; ‘নির্বাচনের পরে সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে’ এবং ‘গণপরিষদ ও আইনসভা হিসেবে নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমে’।

এসব ঘরের যেকোনো একটি ঘরে টিক চিহ্ন দিয়ে মতামত জানাতে বলা হয়েছে। এর বাইরে প্রতিটি সুপারিশের পাশে দলগুলোর ‘মন্তব্য’ দেওয়ার জন্য একটি জায়গাও রাখা হয়েছে।

ড. আলী রীয়াজ আরও জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ব্যাপারে নাগরিকদের মতামত জানার ব্যবস্থা করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি ছাত্রদলের

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী

‘এক সেমিস্টারে ফি ৪০০ কোটি টাকা পাঠানো হয়েছে’

রাষ্ট্রপতিকে স্পিকারের শপথ পড়ানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট

ধূমপান ইস্যুতে দুই তরুণীকে হেনস্তাকারী রিংকু গ্রেপ্তার

খাদ্য সহায়তা না দিয়েই মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞায় হতাশ জেলেরা

স্ত্রী-তিন সন্তানসহ সাবেক এমপি পিন্টুর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

কাশ্মীরে অশ্লীল ফ্যাশন শো, ক্ষোভ মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহর

প্রকাশ্যে নারী ইউপি সদস্যের শ্লীলতাহানি করলেন বিএনপি নেতা

পঙ্গু হাসপাতালের কর্মীদের সঙ্গে জুলাই আহতদের মারামারি

১০

ভূমিকম্পের আভাস / ঢাকায় তাৎক্ষণিক ২ লাখ মানুষের প্রাণহানির শঙ্কা

১১

রাজশাহীতে লাইসেন্সবিহীন রিকশা বন্ধে অভিযান

১২

সালমান এফ রহমানসহ ৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

১৩

অধ্যাপক আমিনুলকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে, দাবি রাশেদ খানের

১৪

জামায়াত কার্যালয়ে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইলাম

১৫

আর্জেন্টিনায় ভয়াবহ বন্যায় ১৬ মৃত্যু, শোকবার্তা পাঠালেন মেসি

১৬

ওলামা-জনতা ঐক্য পরিষদের মানববন্ধন / শরিয়া আইনে ধর্ষণের বিচার দাবি

১৭

বিএনপির নাম ব্যবহার করে লুটপাটে নেমেছে বরিশালের রিপন

১৮

দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণের মামলা নিষ্পত্তির দাবি

১৯

নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার সময় জানালেন সিইসি

২০
X