মাগুরায় ধর্ষণের শিকার আট বছরের শিশুটিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (পিআইসিইউতে) রাখা হয়েছে। সেখানে তার উন্নত চিকিৎসা চলছে। রোববার (১০ মার্চ) দিবাগত রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
হাসপাতালের একটি বিশেষায়িত ইউনিট পিআইসিইউ। সেখানে গুরুতর অসুস্থ শিশুদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়া হয়। সিএমএইচের এই ইউনিটে আধুনিক যন্ত্রপাতিসহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দায়িত্ব পালন করেন।
এর আগে শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
শনিবার (৮ মার্চ) বিকেলে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক আশরাফুল আলম।
তিনি বলেন, মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশক্রমে ও সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুয়ায়ী শিশুটিকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়েছে। একটি কার্ডিয়াক অ্যাম্বুল্যান্স শিশুটিকে নিয়ে বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে ঢামেক থেকে সিএমএইচের উদ্দেশে রওনা হয়।
এরও আগে, শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি জানান, ভেন্টিলেটর যন্ত্রের সাহায্যে শিশুটির শ্বাসপ্রশ্বাস চলছে। শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তরে তিনি এসব কথা জানান।
তিনি জানান, পাশবিক নির্যাতনের কারণে শিশুটির যৌনাঙ্গে ক্ষত রয়েছে। তার গলার আঘাত গুরুতর। শিশুটির চিকিৎসায় গাইনি ও অ্যানেসথেসিওলজি বিভাগের চিকিৎসকদের নিয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে মাগুরা শহরতলীর নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে আট বছরের শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয় বলে অভিযোগ করে তার পরিবার।
পরিবার জানায়, শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে নেওয়া হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এরপর সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চিকিৎসার জন্য আনা হয় ঢাকায়।
মন্তব্য করুন