ধর্ষণবিরোধী মঞ্চ রোববার (৯ মার্চ) ৫ দফা দাবি জানিয়েছে। দাবিগুলো হলো-
১. আসিয়ার মামলার ক্ষেত্রে বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠনের মাধ্যমে ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা এবং ১ মাসের মধ্যে আসিয়ার ধর্ষকের বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন সাপেক্ষে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের আদেশ নিশ্চিত করতে হবে। বিচার প্রক্রিয়া চলাকালীন আসিয়ার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
২. প্রত্যেক ধর্ষণ মামলার বিচারে বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠন করে দ্রুত মামলার বিচার কার্য সম্পন্ন করে সব ধর্ষণের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। ৩ কার্যদিবসের মধ্যে বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠন করে দ্রুত বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
৩. নারী ও শিশুর নিরাপত্তার প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা, নারী ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টার ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে জবাবদিহি করতে হবে।
৪. সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে ‘নারী ও শিশু নিপীড়নবিরোধী সেল’ গঠন ও সেলের কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে হবে। সারাদেশে যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
৫. ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাইবার বুলিং সংক্রান্ত আইনের সংশোধন করে অপরাধের স্পষ্ট ও যথাযথ সংজ্ঞায়ন করতে হবে।
প্রতিটি বিচারের তদন্তকার্যে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ সহযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে। বিচারিক প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রিতা বন্ধ ও দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচারকার্য সম্পন্ন করার জন্য প্রধান বিচারপতির নির্দেশনায় দেশের সব বিচারককে তৎপর ভূমিকা পালন করতে হবে।
বাংলাদেশের আপামর জনগণের উদ্দেশ্যে ছাত্রদের পক্ষ থেকে বলতে চাই, ধর্ষণ ও নিপীড়ন বন্ধে আপনারা সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। আপনারা অপরাধীদের আইনের হাতে সোপর্দ করুন এবং তাদের সামাজিকভাবে বয়কট করুন।
মন্তব্য করুন