ইসলাম ধর্ষককে প্রকাশ্য বিচারের নির্দেশ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক।
রোববার (০৯ মার্চ) বিকেলে পল্টনস্থ দলীয় কার্যালয়ে দেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন নিয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।
মাগুরায় বোনের বাড়িতে গিয়ে ‘ধর্ষণের শিকার’ হওয়া আট বছর বয়সী শিশুটির বিষয়ে উদ্বেগ জানান মাওলানা মামুনুল হক। তিনি বলেন, ইসলাম এই ধরনের বিকৃত লম্পট অপরাধীর (ধর্ষক) প্রকাশ্য বিচারের নির্দেশ দিয়েছে। আমরা যদি ইসলামের নির্দেশনা মেনে বিচার করতে পারি, তাহলে আর কেউই এ ধরনের অপরাধে লিপ্ত হওয়ার দুঃসাহস দেখাবে না।
শিশুটির চিকিৎসার বিষয়ে মামুনুল হক বলেন, সবার আগে শিশুটির সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি অবিলম্বে অপরাধীদের যথাযথ দৃষ্টান্তমূলক বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি অশ্লীলতা, বেহায়াপনা ও ইসলামিক কালচারকে অবজ্ঞা করার প্রবণতা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। শাহবাগের পরাজিত চেতনাধারীরা বিভিন্ন নামে-বেনামে ইসলামি মূল্যবোধে আঘাত দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। মুসলমানদের কাছে রমজান অত্যন্ত পবিত্র মাস। আমরা বিশেষভাবে এই মাসে সব ধরনের বেহায়াপনা ও অশ্লীলতা বন্ধ রাখার জন্য সবার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, তার পরও এক শ্রেণির ধর্মবিদ্বেষী ঈমানদার মুসলমানদের বিভিন্ন উপায়ে উসকানি দেয়। ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সচেতনতার সঙ্গে এসব উসকানির জবাব দিতে হবে। আমরা লক্ষ করছি, সরকার এসব উসকানিদার বিরুদ্ধে যথাসময়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারছে না। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে সরকারের পদক্ষেপ উল্টোমুখী। প্রশাসনের দায়িত্বশীলদের প্রতি আহ্বান থাকবে, আপনাদের পদক্ষেপে যেন ইসলামবিরোধীরা আস্কারা না পায়।
এ সময় মামুনুল হক আরও বলেন, সম্প্রতি নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রূপান্তরকামী এক ব্যক্তিকে অদম্য নারী পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এই ধরনের কাজ, নারীত্বের প্রকৃত মর্যাদা ও স্বাভাবিক পরিচয়কে বিকৃত করার অপপ্রয়াস।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- দলের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, মাওলানা এনামুল হক মূসা, মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, মাওলানা ফয়সাল আহমদ, মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ হাদী, বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা জহিরুল ইসলাম, অফিস সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমীন, সহ-প্রশিক্ষণ মাওলানা হাসান জুনাইদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মাওলানা আব্দুল মুমিন, মাওলানা আনোয়ার রাজী, মাওলানা ছানাউল্লাহ আমিনী, মাওলানা রাকিবুল ইসলাম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন