ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক উত্তেজনার মাঝে গঙ্গা-পদ্মার পানিবণ্টন চুক্তিসংক্রান্ত বৈঠকের জন্য কলকাতায় পৌঁছেছেন বাংলাদেশের ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। আগামীকাল তারা ফারাক্কা ব্যারাজ পরিদর্শন করবেন।
গতকাল সোমবার মোট ১১ জন কর্মকর্তা এই সফরে অংশ নিতে গিয়েছেন। তাদের সঙ্গে নয়াদিল্লি থেকে আসা দেশটির কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে।
সফরের মূল উদ্দেশ্য হলো গঙ্গা-পদ্মার পানিবণ্টন চুক্তি পর্যালোচনা এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা। প্রতিনিধি দলটি সোমবার ফরাক্কা ব্যারাজ পরিদর্শনে যাবেন। সেখানে তারা গঙ্গা থেকে পদ্মায় প্রবাহিত পানির পরিমাণ ও অবস্থা খতিয়ে দেখবেন। ফরাক্কা ব্যারাজ ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে নদীর পানিবণ্টনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
গঙ্গা থেকে নির্ধারিত পরিমাণ পানি কীভাবে পদ্মায় প্রবাহিত হচ্ছে, তা সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করবেন দুই দেশের বিশেষজ্ঞরা। এরপর ৭ মার্চ কলকাতায় একটি বিলাসবহুল হোটেলে আনুষ্ঠানিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে দুই দেশের প্রতিনিধিরা আলোচনায় বসবেন। গঙ্গার পানিবণ্টন ছাড়াও তিস্তা এবং অন্যান্য আন্তঃসীমান্ত নদীগুলোর বিষয়ে কথাবার্তা হতে পারে বলে জানা গেছে।
তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে রয়েছে, যা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৯৬ সালে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে গঙ্গা-পদ্মার পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এর ফলে দুই দেশ গঙ্গার পানি ভাগ করে নেওয়ার একটি নির্দিষ্ট কাঠামো তৈরি করে। চুক্তির মেয়াদ ছিল ৩০ বছর, অর্থাৎ ২০২৬ সালে এটি শেষ হবে।
মন্তব্য করুন