কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৩ মার্চ ২০২৫, ০৯:০৪ পিএম
আপডেট : ০৩ মার্চ ২০২৫, ০৯:০৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

২৯ মিলিয়ন ডলার নিয়ে ট্রাম্পের দাবিটি সঠিক নয় : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স
ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স

বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) ২৯ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প নিয়ে ডোনাল্ট ট্রাম্পের দাবিটি সঠিক নয় বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

সোমবার (০৩ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, বাংলাদেশে ইউএসএআইডির অর্থায়নে ২৯ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প ‘স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ (এসপিএল) ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ প্রকল্পটি নিয়ে কিছু তথ্য দিয়েছেন যা নিয়ে জনমনে ব্যাপক বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুসন্ধান করেছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ইউএসএআইডি যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালকে (ডিআই) নির্বাচিত করে। প্রকল্প প্রস্তাবনা আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে অনেক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান দরপত্র প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে এবং একটি স্বচ্ছ প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়া অনুসরণের মধ্য দিয়ে ইউএসএআইডি সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করে। ২০১৭ সালের মার্চে চুক্তি স্বাক্ষরের পর ডিআই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শুরু করে। পরে প্রকল্পটির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয় এবং এর অর্থ আসে ধাপে ধাপে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুসন্ধানে জানা গেছে, শুরুতে এসপিএল প্রকল্পটি ছিল ৫ বছর মেয়াদি এবং বাজেট ছিল ১৪ মিলিয়ন ডলার। প্রকল্পটির ব্যবস্থাপনায় ছিল ইউএসএআইডি এবং অর্থায়নে ছিল ইউএসএআইডি ও যুক্তরাজ্যের উন্নয়ন সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান ডিএফআইডি (বর্তমানে এফসিডিও)। এই প্রকল্পে ডিএফআইডির অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি ছিল ১০ মিলিয়ন ডলার।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, এসপিএল প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ছিল- রাজনৈতিক সহিংসতা হ্রাস করে শান্তি ও সম্প্রীতি বৃদ্ধি, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান তৈরি, দলগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি, দলগুলোর অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চার উন্নয়ন এবং প্রতিনিধিত্বমূলক নেতৃত্বের বিকাশে উৎসাহ প্রদান। প্রকল্পের অধীনে ডিআই বাংলাদেশে জরিপ কার্যক্রমও পরিচালনা করে।

উল্লেখ্য, ইউএসএআইডির প্রকল্পের ক্ষেত্রে মার্কিন সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনা নীতি অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক। এতে আর্থিক নিরীক্ষার প্রক্রিয়াটি কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয়। প্রকল্প শেষ হয়ে যাওয়ার কয়েক বছর পরও এ-সংক্রান্ত নথিপত্র সংরক্ষণ করা হয়, প্রয়োজনে পুনর্নিরীক্ষাও করা হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশে এসপিএল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শুরু করে। তাই এটি বাংলাদেশের দুই ব্যক্তির মালিকানাধীন কোনো সংস্থাকে প্রদান করার অভিযোগটি সত্য নয়।

মন্ত্রণালয় আরও বলছে, এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়িত হয় বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগিতা চুক্তির মাধ্যমে। এ ক্ষেত্রে ব্যক্তি বিশেষের কোনো কিছু করার ক্ষমতা থাকে না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বৈষম্যবিরোধী নেতা নাহিদের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ

যুবদল নেতার নেতৃত্বে জবি শিক্ষার্থীকে মারধর, আহত ২

রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় সেনাসদস্য নিহত

আদালতে চার্জশিট / ২০ হাজার টাকায় শিশু বিক্রি করেন মিল্টন সমাদ্দার

৬ দাবিতে বৈষম্যবিরোধীদের মানববন্ধন, শ্রমিকদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

পানছড়িতে ইউপিডিএফ-জেএসএস’র গোলাগুলিতে নিহত ১

চাঁদাবাজ ধরে বিপিএম পদক পেলেন এএসআই মেসবাহ

নতুন মহাপরিচালক পেল বিওএ

চট্টগ্রামে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু

সাবেক আইনমন্ত্রীর মুক্তি চেয়ে পোস্টার লাগানোর অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার

১০

নারায়ণগঞ্জে বিদেশি অস্ত্র ও গুলিসহ দুই ভাই গ্রেপ্তার

১১

ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : আমিনুল হক

১২

লক্ষ্মীপুরে যুবদলের কমিটি ঘোষণা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে মিছিল

১৩

হাসপাতাল ভাঙচুরের হুমকির অভিযোগ নিয়ে হাসনাতের স্ট্যাটাস

১৪

ইতালিতে প্রবাসী অধিকার পরিষদের নবগঠিত কমিটির মতবিনিময় সভা

১৫

ভাগ্য আর বদলাল না কবিরের

১৬

দেশের প্রয়োজনে ১২ দলীয় জোট ঐক্যবদ্ধ

১৭

সৌদি সাবেক গোয়েন্দা প্রধান / গাজা পুনর্গঠনের অর্থ আদায়ে ইসরায়েলকে বাধ্য করা উচিত

১৮

ক্রিকেটারদের জন্য সুখবর, বাড়ছে বেতন ও ম্যাচ ফি

১৯

শাপলা চত্বর ও গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে প্রেস সচিবের স্ট্যাটাস

২০
X